পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ. Ν. 02><5 ।। রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী রাজদূতগণে নাহি করি সম্ভাষণ, সামন্ত রাজন্যগণে না দিয়া আসন, প্রধান অমাত্য-সবে রাজ্যের বারতা না করি জিজ্ঞাসাবাদ, না করি শিষ্টতা অতিথি-সজন-গুণীজনে— অসময়ে ছুটি গেলা অন্তঃপুরে মত্তপ্রায় হয়ে শিশুর ক্ৰন্দন শুনি ? ধিক মহারাজ, তব মুগ্ধ ব্যবহারে ; শিশুভুজপাশে বন্দী হয়ে আছ পড়ি দেখে সবে হাসে শত্রুদল দেশে দেশে, নীরব সংকোচে বন্ধুগণ সংগোপনে অশ্রুজল মোছে ।” ব্ৰাহ্মণের সেই তীব্র তিরস্কার শুনি অবাক হইল সভা । পাত্ৰমিত্ৰ গুণী রাজগণ প্ৰজাগণ রাজদূত সবে আমার মুখের পানে চাহিল নীরবে ভীত কৌতুহলে। রোষাবেশ ক্ষণতরে উত্তপ্ত করিল রক্ত ; মুহুর্তেক-পরে লজা আসি করি দিল দ্রুত পদাঘাত দৃপ্ত রোষসপশিরে । করি। প্ৰণিপাত গুরুপদে, কহিলাম বিনম্র বিনয়ে, “ভগবন, শাস্তি নাই এক পুত্ৰ লয়ে, ভয়ে ভয়ে কাটে কাল । মোহবশে তাই অপরাধী হইয়াছি- ক্ষমা ভিক্ষা চাই । সাক্ষী থাকো মন্ত্রী-সবে, হে রাজন্যগণ, রাজার কর্তব্য কভু করিয়া লঙ্ঘন খর্ব করিব না। আর ক্ষত্ৰিয়গৌরব ।” কুষ্ঠিত আনন্দে সভা রহিল নীরব । আমি শুধু কহিলাম বিদ্বেষের তাপ অস্তরে পোষণ করি, “এক-পুত্ৰ-শাপ দূর করিবারে চাও— পস্থা আছে তারো, কিন্তু সে কঠিন কাজ, পারো কি না পারো ভয় করি ।” শুনিয়া সগর্বে মহারাজ পারি না করিতে যাহা ক্ষত্ৰিয়তনয় কহিলাম সম্পর্শি তব পাদপদ্মন্দ্ৰয় ।” শুনিয়া কহিনু মৃদু হাসি, “ হে রাজন, শুন তবে । আমি করি যজ্ঞ-আয়োজন, তুমি হােম করো দিয়ে আপনি সস্তান । তারি মেদগন্ধধূম করিয়া আত্মাণ মহিষীরা হইবেন শতপুত্ৰবতী,