পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVR রবীন্দ্র-রচনাবলী চতুর্ভুজের প্রবেশ ছোটাে ছেলে। দাদাবাবু, এ বেড়ালটি আমাকেচতুৰ্ভুজ। (তাহাকে এক চপেটাঘাত) দিন রাত্রি কেবল বেড়াল বেড়াল বেড়াল ! মা | বাছা সাধে রাগ করে ! এত দিন পরে বাড়ি এল, ছেলেগুলি বিরক্ত করে খেলে। যা, তোরা সব যা ! (চতুর্ভুজের প্রতি) আমাকে দাও বাছা— দুধভাত রেখে দিয়েছি, আমি তোমার বেড়ালকে খাইয়ে আনছি। চতুৰ্ভুজ। (সরোষে) এই নাও মা, তোমরা বেড়ালকেই খাওয়াও আমি খাব না, আমি চললেম । মা ! (সকাতরে) ও কী কথা ! তোমার খাবার তো তৈরি আছে বাপ, এখন নেয়ে এলেই হয় । চতুৰ্ভুজ। আমি চললেম— তোমাদের দেশে বেড়ালেরই আদর, এখানে গুণবানের আদর নেই। বিড়ালের প্রতি লাথি-বর্ষণ মাসিমা । আহা, ওকে মেরো না- ও তো কোনো দোষ করে নি । চতুৰ্ভুজ | বেড়ালের প্রতিই যত তোমাদের মায়ামমতা— আর মানুষের প্রতি একটু দয়া নেই। [প্ৰস্থান ছোটাে মেয়ে । (নেপথ্যের দিকে নির্দেশ করিয়া) হরিখুড়ে দেখে যাও, ওর লেজ কত মোটা । হরি। কার ? মেয়ে। ঐ-যে ওর ! হরি ; চতুর্ভুজের ? মেয়ে । না, ঐ বেড়ালের । তৃতীয় দৃশ্য পথ। ব্যাগ হন্তে চতুর্ভুজ। সঙ্গে বিড়াল নাই সাধুচরণ। মশায়, আপনার সে বেড়ালটি গেল কোথায় ? চতুর্ভুজ | সে মরেছে ! সাধুচরণ। আহা, কেমন করে মোলো ? চতুর্ভুজ। (বিরক্ত হইয়া) জানি নে মশায় ! পরানবাবুর প্রবেশ পরান। মশায়, আপনার বেড়াল কী হ’ল ? চতুর্ভুজ। সে মরেছে। পরান । বটে ! মোলো কী করে ? চতুৰ্ভুজ। এই তোমরা যেমন করে মরবে। গলায় দড়ি দিয়ে। পরান ৷৷ ও বাবা, এ যে একেবারে আগুন । চতুর্ভুজের পশ্চাতে ছেলের পাল লাগিল হাততালি দিয়া 'কাবুলি বিড়াল কাবুলি বিড়াল বলিয়া খেপাইতে লাগিল Vola SSSN