পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 রবীন্দ্র-রচনাবলী । হারাধন। (চুপড়ির দিকে চাহিয়া) বাবা, তাল এনেছ কার জন্যে ? আমি খাব। পিতা । (পৃষ্ঠে কিল মারিয়া) এই খাও ! হারাধন । (পিঠে হাত বুলাইয়া) এ তো ভালো লাগল না ! নেপথ্যে । হারু ! হারাধন | কী মা ! নেপথ্যে । তোর জন্যে তালের বড়া করে রেখেছি— খাবি আয় । দ্বিতীয় দৃশ্য ডাক্তার-সাহেবের আস্তাবলে হারাধন হাঁস-চুরি-কারণে প্রবৃত্ত পিতা । (দূর হইতে) হারু ! হারাধন । ঐ রে, বাবা আসছে ! কী করি ? হারাধনের গলা হইতে পেট পর্যন্ত থলি বুলিতেছিল, তাড়াতাড়ি থলির মধ্যে হাস পুরিয়া ফেলিল পিতা । হারু ! (নিরুত্তর) হারা ! (নিরুত্তর) হেরো ! হারাধন | আজ্ঞে ! পিতা । তোর পেট হঠাৎ অমন ফুলে উঠল কী করে ? হারাধন । বাবা, কাল সেই তালের বড় খেয়ে । পিতা । অমন কঁ্যাক কঁ্যাক শব্দ হচ্ছে কেন ? হারাধন । পেটের ভিতর নড়িগুলো ডাকছে । পিতা | দেখি, পেটে হাত দিয়ে দেখি । হারাধন। (শশব্যাস্তে) ছুয়াে না, ছুয়াে না, বড় ব্যথা হয়েছে। পেটের মধ্যে র্কাক কঁ্যাক পিতা । (স্বগত) সব বোঝা গেছে। হতভাগাকে জব্দ করতে হবে । (প্রকাশ্যে) তোমার রোগ সহজ নয় ; এসো বাপু, তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই । হারাধন । না বাবা, এমন আমার মাঝে মাঝে হয়, আপনি সেরে যায় । পিতা । কই রে, এ তো ক্রমেই বাড়ছে। চল, আর দেরি নয়। তৃতীয় দৃশ্য হারাধন । পিতা ও মাতা মা ! (কঁদিতে কঁদিতে) বাছার আমার কী হল গা ! পিতা। হাগো, তুমি বেশি গোল কোরো না। হাসপাতালে নিয়ে গেলেই এ ব্যামো সেরে যাবে। মা । আমি বেশি গোল করছি, না তোমার ছেলের পেট বেশি গোল করছে ! (সভয়ে) এ থে হাঁসের মতো কঁ্যাক কঁ্যাক করে। বাবা হারু, তোকে আর আমি হাঁসের ডিম খেতে দেব না— তোর পেটের মধ্যে ইহাস ডাকছে- কী হবে ! (గైగో