পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(नोकाgति NRCS) আসিয়া কহিল, ‘আহা, এমন রূপ তো দেখা যায় না ।” মুগ্ধ চেৎসিং নববধূকে ঘরের কল্যাণলক্ষ্মী বলিয়া মনে মনে পূজা করিতে লাগিল। রাজকন্যাও সতীধর্মের মর্যাদা বুঝিতেন ; তিনি চেৎসিংকে আপন পতি বলিয়া জানিয়া তাহার নিকট মনে মনে আত্মজীবন উৎসর্গ করিয়া দিলেন । নবপরিণয়ের লজ্জা ভাঙিতে কিছুদিন গৈল । যখন লজ্জা ভাঙিল। তখন কথায় কথায় চেৎসিং জানিতে পারিল যে, যাহাকে সে বধু বলিয়া ঘরে লইয়াছে, সে রাজকন্যা চন্দ্র। 9ܔ কমলা রুদ্ধনিশ্বাসে একান্ত আগ্রহের সহিত জিজ্ঞাসা করিল, “তার পরে ?” রমেশ কহিল, “এই পর্যন্তই জানি, তার পরে আর জানি না । তুমিই বলে দেখি, তার পরে কী ।” কমলা । না না, সে হইবে না, তার পরে কী আমাকে বলে । রমেশ । সত্য বলিতেছি, যে গ্ৰন্থ হইতে এই গল্প পাইয়াছি তাহা এখনো সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয় নাই- শেষের অধ্যায়গুলি কবে বাহির হইবে কে জানে । কমলা অত্যন্ত রাগ করিয়া কহিল, “যাও, তুমি ভারি দুষ্ট ! তোমার ভারি অন্যায় ।” রমেশ । যিনি বই লিখিতেছেন তঁর সঙ্গে রাগারগি করে | তোমাকে আমি কেবল এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতেছি, চন্দ্রাকে লইয়া চেৎসিং কী করিবে ? কমলা তখন নদীর দিকে চাহিয়া ভাবিতে লাগিল ; অনেকক্ষণ পরে কহিল, “আমি জানি না, সে কী করিবে- আমি তো ভাবিয়া উঠিতে পারি না ।” পুস্ক্ষিণ শুদ্ধ প্রয় বুলি ক’লে, “চেন্স কি সফল কথা স্তকে প্রকাশ কয়ে কমলা কহিল, “তুমি বেশ যা হােক, না বলিয়া বুঝি সমস্ত গোলমাল করিয়া রাখিবে ? সে যে বড়ো বিশ্ৰী । সমস্ত স্পষ্ট হওয়া চাই তো ।” রমেশ যন্ত্রের মতো কহিল, “তা তো চাই ।” রমেশ কিছুক্ষণ পরে কহিল, “আচ্ছা কমল, যদি—” কমলা । যদি কী ? রমেশ । মনে করো, আমিই যদি সত্য চেৎসিং হই, আর তুমি যদি চন্দ্ৰা হওকমলা বলিয়া উঠিল, “তুমি অমন কথা আমাকে বলিয়ে না ; সত্য বলিতেছি, আমার ভালো লাগে ଲା ।” লে। ন তােমাকে বলতেই হইবে, তার হইলে আমারই বাকী কর্তব্য আর তােমারই বা কঙ্বা কমলা এ কথার কোনো উত্তর না করিয়া চৌকি ছাড়িয়া দ্রুতপদে চলিয়া গেল । দেখিল, উমেশ তাহাদের কামরার বাহিরে চুপ করিয়া বসিয়া নদীর দিকে চাহিয়া আছে। জিজ্ঞাসা করিল, “উমেশ, তুই কখনো ভূত দেখিয়াছিস ?” ७भभ कश्लि, "(प्रशिशछि भा।” শুনিয়া কমলা অনতিদূর হইতে একটা বেতের মোড়া টানিয়া আনিয়া বসিল ; কহিল, “কিরকম তৃত দেখিয়াছিলি বল।” কমলা বিরক্ত হইয়া চলিয়া গেলে রমেশ তাহাকে ফিরিয়া ডাকিল না। চন্দ্রখণ্ড তাহার চোখের সম্মুখে ঘন বঁাশবনের অন্তরালে অদৃশ্য হইয়া গেল। ডেকের উপরকার আলো নিবাইয়া দিয়া তখন সারেং-খালাসিরা জাহাজের নীচের তলায় আহার ও বিশ্রামের চেষ্টায় গেছে। প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণীতে যায়ী কেহই ছিল না। তৃতীয় শ্রেণীর অধিকাংশ যাত্রী রন্ধনাদির ব্যবস্থা করিতে জল ভাঙিয়া ডাঙায়