পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

く)● M রবীন্দ্র-রচনাবলী ঠাকুরল। সে আর দেরি হবে না ভাই। যেখানে নেবে এসেছ এখানে নত তোমার মিথ্যে মান সব ঘুচে গেছে—এখন দেখতে দেখতে রং ফিরে যাবে। আর এই আমাদের রানীকে দেখো, ও নিজের উপর ভারি রাগ করেছিল—মনে করেছিল গল্পনা ফেলে দিয়ে নিজের ভুবনমোহন রূপকে লাঞ্ছনা দেবে, কিন্তু সে রূপ অপমানের আষাতে আরও ফুটে পড়েছে—সে যেন কোথাও আর কিছু ঢাকা নেই। আমাদের রাজাটির নিজের নাকি রূপের সম্পর্ক নেই তাই তো বিচিত্র রূপ সে এত ভালোবাসে, এই রূপই তো তার বক্ষের অলংকার। সেই রূপ আপন গর্বের আবরণ ঘুচিয়ে দিয়েছে-- আজ আমার রাজার ঘরে কী মুরে যে এতক্ষণে বীণা বেজে উঠেছে, তাই শোনরার জন্তে প্রাণটা ছটফট করছে। সুরঙ্গমা। ওই যে স্বর্য উঠল । [ সকলের প্রস্থান গান ভোর হল বিভাবরী, পথ হল অবসান । শুন ওই লোকে লোকে উঠে আলোকেরি গান ৷ ধন্য হলি ওরে পান্থ রজনী-জাগর-ক্লাস্ত, ধন্ত হল মরি মরি ধুলায় ধূসর প্রাণ ।