পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ग्न एयथTांब्र &ዓ› চক্রবর্তীর মতো । অসাধারণ র্তার তেজ, আর বিস্তার খ্যাতিও প্রভূত। একদিন সুরেশের ওখানে তার নিমন্ত্রণ। সেদিন কোনো এক সুযোগে এল অপরিচয়সত্ত্বেও অসংকোচে তার কাছে এসে বললে “আমাকে আপনার কোনো একটা কাজ দিতে •পারেন না ?” আজকালকার দিনে এ-রকম আবেদন বিশেষ আশ্চর্ষের নয় কিন্তু তবু মেয়েটির লপ্তি দেখে চমক লাগল ইন্দ্রনাথের। তিনি বললেন, “কলকাতায় সম্প্রতি নারায়ণী হাই স্কুল মেয়েদের জন্তে খোলা হয়েছে। তোমাকে তার কত্ৰীপদ দিতে পারি, প্রস্তুত আছ ?”

  • “প্রস্তুত আছি যদি আমাকে বিশ্বাস করেন।”

ইন্দ্রনাথ এলার মুখের দিকে তার উজ্জল দৃষ্টি রেখে বললেন, “আমি লোক চিনি। তোমাকে বিশ্বাস করতে আমার মুহূর্তকাল বিলম্ব হয় নি। তোমাকে দেখবামাত্রই মনে • হয়েছে, তুমি নবযুগের দূতী, নবযুগের আহবান তোমার মধ্যে ।” 鱷亨 হঠাৎ ইন্দ্রনাথের মুখে এমন কথা শুনে এলার বুকের মধ্যে কেঁপে উঠল। সে বললে, “আপনার কথায় আমার ভয় হয়। ভুল করে আমাকে বাড়বেন না । আপনার ধারণার যোগ্য হবার জন্তে দুঃসাধ্য চেষ্টা করতে গেলে ভেঙে পড়ব । আমার শক্তির সীমার মধ্যে যতটা পারি বঁচিয়ে চলব আপনার আদর্শ, কিন্তু ভান করতে পারব না ।” ইজনাখ বললেন, “সংসারের বন্ধনে কোনোদিন বন্ধ হবে না এই প্রতিজ্ঞ তোমাকে স্বীকার করতে হবে। তুমি সমাজের নও তুমি দেশের ” এলা মাথা তুলে বললে “এই প্রতিজ্ঞাই আমার ।” কাক গমনোস্থ্যত এলাকে বললেন “তোকে আর কোনোদিন বিয়ের কথা বলব না। তুই আমার কাছেই থাক। এখানেই পাড়ার মেয়েদের পড়বার ভার নিয়ে একটা ছোটোখাটে ক্লাস খুললে দোষ কী।” কাকী স্নেহার্জ স্বামীর অবিবেচনায় বিরক্ত হয়ে বললেন, “ওর বয়স হয়েছে, ও নিজের দায় নিজেই নিতে চায়, সে ভালোই তো । তুমি কেন বাধা দিতে যাও মাঝের থেকে। তুমি যা-ই মনে কর না কেন, আমি বলে রাখছি ওর ভাবনা আমি ভাবতে পারব না ।” এলা খুব জোর করেই বললে, “আমি কাজ পেয়েছি, কাজ করতেই যাব।” এলা কাজ করতেই গেল। এই ভূমিকার পরে পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হল, এখন কাহিনী অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে ।