পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छन्न अस्थाग्नि శిe) তাহলে এমন বিশেষভাবে ধমক দিতে আসত না, খদপ্রচাৰু-ও একটা ছুতে, সত্যি কিনা বলে ।” “ওগো, কতবার বলেছি,—অনেকক্ষণ ধরে ডেকের কোণে বলে তোমাকে চেয়ে চেয়ে •দেখছিলুম। স্কুলে গিয়েছিলুম আর-কেউ সেটা লক্ষ্য করছে কি না । জীবনে সেই আমার সবচেয়ে আশ্চৰ একচমকের চিরপরিচয় । মন বললে, কোথা থেকে এল এই অতিদূর জাতের মাস্থ্যটি, চারদিকের পরিমাপে তৈরি নয়, শেওগার মধ্যে শতদল পদ্ম । তখনই মনে মনে পণ করলুম এই দুর্লভ মানুষটিকে টেনে আনতে হবে, কেবল আমার নিজের কাছে নয়, আমাদের সকলের কাছে।” “আমার কপালে তোমার একবচনের চাওয়াটা চাপা পড়ল বহুবচনের চাওয়ার তলায় ।” “আমার উপায় ছিল না অন্ত। দ্রৌপদীকে দেখবার আগেই কুন্তী বলেছিলেন, তোমরা সবাই মিলে ভাগ করে নিয়ে । তুমি আসবার আগেই শপথ করে দেশের আদেশ স্বীকার করেছি, বলেছি আমার একলার জন্তে কিছুই রাখব না । দেশের কাছে আমি বাগদত্ত ।” “অধাৰ্মিক তোমার পণগ্রহণ, এ পণকে রক্ষা করাও প্রতিদিন তোমার স্বধর্মবিদ্রোহ। পণ যদি ভাঙতে তবে সত্যরক্ষা হত । যে লোভ পবিত্র যা অন্তৰ্বামীর আদেশবাণী, তাকে দলের পায়ে দলিত করেছ, এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবে।” “অন্ত, শাস্তির সীমা নেই, দিনরাত মারছে আমাকে। যে আশ্চৰ সৌভাগ্য সকল সাধনার অতীত, যা দৈবের অযাচিত দান তা এল আমার সামনে, তবু নিতে পারলুম না । হৃদয়ে হৃদয়ে গাঠ বাধা, তৎসত্ত্বেও এতবড়ো দুঃসহ বৈধব্য কোনো মেয়ের ভাগ্যে যেন না ঘটে। একটা মন্ত্রপড়া বেড়ার মধ্যে ছিলুম, কিন্তু তোমাকে দেখবামাত্র মন উৎসুক হয়ে উঠল, বললে, ভাঙুক সব বেড়া। এমন বিপ্লব ঘটতে পারে সে-কথা কোনোদিন ভাবতে পারি নি। এর আগে কখনো মন বিচলিত হয় নি বললে মিথ্যে বলা হবে। কিন্তু চঞ্চলত জয় করে খুশি হয়েছি নিজের শক্তির গর্বে। জয় করবার সেই গর্ব আজ নেই, ইচ্ছে হারিয়েছি—বাহিরের কথা ছেড়ে দাও, অস্তরের দিকে তাকিয়ে দেখো, হেরেছি আমি। তুমি বীর, আমি তোমার বন্দিনী।” “আমিও হেরেছি আমার সেই বন্দিনীর কাছে। হার শেষ হয় নি, প্রতি মুহূর্তের যুদ্ধে প্রতি মুহূর্তেই হারছি।” so “জন্ড কাস্ট ক্লাস ডেক-এ ৰখন অপূর্ব আবির্ভাবের মতে আমাকে দূর থেকে দেখা দিয়েছিলে তখনও জানভূম থার্ড ক্লাসের টিকিট আমাদের আধুনিক আভিজাত্যের