পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छद्म खंश्चि ఇ36t “আমার জীবন সার্থক হত, কতটুকুই বা তার দাম । কারও মতে নওৰে তুমি ; মন্ত তুমি । তফাতে আছি বলেই দেখতে পেলুম সেই তোমার আলোকসামান্ত প্রকাশ । সীমান্ত আমাকে দিয়ে তোমাকে জড়িয়ে ফেলবার কথা কল্পনা করতে আমার ভয় করে । ,আমার ছোটো সংসারে প্রতিদিনের তুচ্ছতার মানুষ হবে তুমি ! আমি কত উপরে মুখ তুলে তোমার মাথা দেখতে পাই তোমাকে বোঝাব কেমন করে ? মেয়েদের সম্বল জীবনের যত সব খুটিনাটি, সেই বোঝা দিয়ে তোমাদের মতো পুরুষের জীবনকেও চাপ দিতে ভয় পায় না এমন মেয়ে হয়তো আছে , তার ট্র্যাজেডি ঘটিয়েছে কত আমি তা জানি । চোখের সামনে দেখেছি লতার জালে বনম্পতিকে বাড়তে দিল না ; সেই মেয়েরা বুঝি মনে করে তাদের জড়িয়ে ধরাই যথেষ্ট।” “এলা, যে পায় সেই জানে যথেষ্ট কাকে বলে ।” “নিজেকে ভোলাতে চাই নে, অস্তু। প্রকৃতি আমাদের আজন্ম অপমান করেছে। আমরা বায়োলজির সংকল্প বহন করে এসেছি জগতে । সঙ্গে সঙ্গে এনেছি জীবপ্রকৃতির নিজের জোগানো অস্ত্র ও মন্ত্র। সেগুলো ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানলেই সন্তায় আমরা জিতে নিতে পারি আমাদের সিংহাসন । সাধনার ক্ষেত্রে পুরুষকে প্রমাণ করতে হয় তার শ্রেষ্ঠতা । সেই শ্রেষ্ঠত যে কী, ভাগ্যক্রমে আমি তা জানবার সুযোগ পেয়েছি। পুরুষরা আমাদের চেয়ে অনেক বড়ো ।” “মাথায় বড়ো ।” “ই মাথায় বড়োই তো । প্রকৃতিকে অতিক্রম করে বড়ো হবার তোরণদ্বার সেই মাথায় । আমার বুদ্ধিমুদ্ধি যথেষ্ট থাক না-থাক আমি নম্র হয়ে নিজেকে নিবেদন করতে পেরেছি সেই উপরের দিকে চেয়ে।” “কোনো নীচ উৎপাত করে নি ?” “করেছে। আমাদের টানে যারা নেমে আসে বায়োলজির নিচের তলায়, তারা বিত্র হয়ে বিগড়ে যায়। ব্যক্তিগত বিশেষ ইচ্ছে বা প্রয়োজন না থাকলেও নিচে টেনে আনবার একটা সাধারণ ষড়যন্ত্রে আমরা সমস্ত মেয়ে এক হয়ে যোগ দিয়েছি, সাজে সজায় হাবেভাবে বানানো কথায় ।” “বোকাদের ভোলাবার জন্তে ?” “ছ গো, তোমরা বোকা ! অতি সহজ মন্ত্রেই ভোল, তাই আমাদের এত গুমর । আমরা বোকাদের ভালোবেসেছি, তবু তাদের স্কুল বোকামির সর্বোচ্চ শিখরে দেখেছি স্বৰ্বোদয়, আলো এনেছে তারা, পূজা করেছি তখন। অনেক দেখেছি ইতর নোংরা নিন্দুক, অনেক দেখেছি কৃপণ কুৎসিত। সব বা দিয়ে সব মেনে নিয়ে তবু অনেক