পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম ©©☾ সুতরাং তাহাতে সংসারের সমস্ত লক্ষণ ফুটিয়া উঠে । সংসারের লক্ষণ বৈচিত্র্য, সংসারের লক্ষণ বিরোধ । բ যাহা ধারণা করিতে পারি, তাহাতে আমাদের তৃপ্তির অবসান হুইয়া যায়, যাহা ধারণা করি, তাহাতে প্রতিক্ষণে বিকার ঘটিতে থাকে। মুখের আশাতেই আমরা সমস্ত-কিছু ধারণা করিতে যাই, কিন্তু যাহা ধারণা করি, তাহাতে আমাদের মুখের অবসান হয় । এইজন্ত উপনিষদে আছে— যো ৰৈ ভূম তৎ জগং নায়ে স্বখমস্তি । यांश छूम डांशई शर्ष, यांश बन्न ठांशंप्ठ शर्ष नांई । সেই ভূমাকে যদি আমরা ধারণাযোগ্য করিবার জন্য অল্প করিয়া লই, তবে তাহ দুঃখস্থষ্টি করিবে,—দুঃখ হইতে রক্ষা করিবে কী করিয়া ? অতএব সংসারে থাকিয়া ভূমাকে উপলব্ধি করিতে হইবে, কিন্তু সংসারের দ্বারা সেই ভূমাকে খণ্ডিত-জড়িত করিলে চলিবে না । একটি উদাহরণ দিই। গৃহ আমাদের পক্ষে প্রয়োজনীয়, তাহ আমাদের বাসযোগ্য। মুক্ত আকাশ আমাদের পক্ষে সেরূপ বাসযোগ্য নহে, কিন্তু এই মুক্ত আকাশকে মুক্ত রাখাই আমাদের পক্ষে একান্ত আবশ্যক। মুক্ত আকাশের সহিত আমাদের গৃহস্থিত আকাশের অবাধ যোগ রাখিলেই তবেই আমাদের গৃহ আমাদের পক্ষে কারাগার, আমাদের পক্ষে কবরস্বরূপ হয় না। কিন্তু যদি বলি, আকাশকে গৃহেরই মতো আমার আপনার করিয়া লইব -যদি আকাশের মধ্যে কেবলই প্রাচীর তুলিতে থাকি, তবে তাহাতে আমাদের গৃহেরই বিস্তার ঘটিতে থাকে, মুক্ত আকাশ দূর হইতে সুদূরে চলিয়া যায়। আমরা যদি বৃহৎ ছাদ পত্তন করিয়া সমস্ত আকাশকে আমার আপনার করিয়া লইলাম বলিয়া কল্পনা করি, তবে আলোকের জন্মভূমি, ভূভূর্বঃস্বলোকের অনস্ত ক্রীড়াক্ষেত্র আকাশ হইতে নিজেকে বঞ্চিত করি । যাহা নিতান্ত সহজেই পাওয়া যায়, সহজে ব্যতীত আর-কোনো উপায়ে যাহা পাওয়া যায় না, নিজের প্রভূত চেষ্টার দ্বারাতেই তাহাকে একেবারে দুর্লভ করিয়া তোলা হয় । বেষ্টন করিয়া লইয়া সংসারের আরসমস্ত পাওয়াকে আমরা পাইতে পারি,– কেবল ধর্মকে, ধর্মের অধীশ্বরকে বেষ্টন ভাঙিয়া দিয়া আমরা পাই। সংসারের লাভের পদ্ধতিদ্বারা সংসারের অতীতকে পাওয়া যায় না। বস্তুত যেখানে আমরা না পাইবার আসন্দের অধিকারী, সেখানে পাইবার ব্যর্থ চেষ্টা করিয়া আমরা হারাই মাত্র। সেইজন্ত ঋষি বলিয়াছেন— বতো বাচো লিবর্তত্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ । चांमन्त्र१ जभरना क्षिांन् म विरकछि कूठन्छन ॥