পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8め8 , ' ' | अखिता सा नाना गारका गतःि चाशीरिं नरेष श्षंषिक् क्षेश्--वस्तःि DDDD DDS DDD BBD DB B BB BBBS BBB BBBB BBD DDS ttDD DBBS BBB BB BBBS BB BBBBS BBB BBB BB BBDDS DDDD DDD DD BBB BB BB BSBBS B BBB BB BBBB করে না ; যাহাকে আমার নহে বলিয়া জানি, সেই আমাকে বাধা দেয়, সেই, হয় অভাবের, নয় বিরোধের কষ্ট দিয়া আমাকে কিছু-না-কিছু পীড়িত করে। পৃথিবীতে আমরা সমস্ত মিলনের মধ্যে সমস্ত সম্বন্ধের মধ্যে ঐক্যবোধ করিবামাত্র যে আনন্দ অহুভব করি, তাহাতে সেই অদ্বৈতকে নির্দেশ করিতেছে । আমাদের সকল আকাঙ্ক্ষার মূলেই জ্ঞানে-অজ্ঞানে সেই অদ্বৈতের সন্ধান রহিয়াছে। অদ্বৈতই আনন্দ । এই যিনি অদ্বৈতং, র্তাহার উপাসনা করিব কেমন করিয়া ? পরকে আপন করিয়া, অহমিকাকে খর্ব করিয়া, বিরোধের কাটা উৎপাটন করিয়া, প্রেমের পথ প্রশস্ত করিয়া । আত্মবৎ সর্বভূতেষু য: পশুতি স পশুতি। সকল প্রাণীকে আত্মবৎ যে দেখে, সেই যথার্থ দেখে । কারণ, সে জগতের সমস্ত পার্থক্যের মধ্যে পরম সত্য যে অদ্বৈতং, র্তাহাকেই দেখে । অন্তকে যখন আঘাত করিতে যাই, তখন সেই অদ্বৈতের উপলব্ধিকে হারাই, সেইজন্ত তাহাতে দুঃখ দিই ও দুঃখ পাই ; নিজের স্বার্থের দিকে যখন তাকাই, তখন সেই অদ্বৈতং প্রচ্ছন্ন হইয়া যান, সেইজন্ত স্বার্থসাধনার মধ্যে এত মোহ, এত দুঃখ । জ্ঞানে কর্মে ও প্রেমে শাস্তকে শিবকে ও অদ্বৈতকে উপলব্ধি করিবার একটি পর্যায় উপনিষদের শাস্তং শিবমদ্বৈতম মন্ত্রে কেমন নিগৃঢ়ভাবে নিহিত আছে, তাহাই আলোচনা ৷ করিয়া দেখো । প্রথমে শাস্তম। আরম্ভেই জগতের বিচিত্ৰশক্তি মানুষের চোখে পড়ে। যতক্ষণ শাস্তিতে তাহার পর্যাপ্তি দেখিতে না পাই, ততক্ষণ পর্যন্ত কত ভয় কত সংশয় কত অমূলক কল্পনা । সকল শক্তির মূলে যখন অমোঘ নিয়মের মধ্যে দেখিতে পাই শান্তং, তখন আমাদের কল্পনা শাস্তি পায়। শক্তির মধ্যে তিনি নিয়মস্বরূপ, তিনি শাস্তম্। মাহব আপন অন্তকরণের মধ্যেও প্রবৃত্তিরূপিণী অনেকগুলি শক্তি লইয়া সংসারে প্রবেশ । করে ; যতক্ষণ তাহদের উপর কর্তৃত্বলাভ না করিতে পারে, ততক্ষণ পদে পদে , বিপদ, ততক্ষণ দুঃখের সীমা নাই। অতএব এই সমস্ত শক্তিকে শান্তির মধ্যে সংৰক্ষণ" করিয়া আনাই মানুষের জীবনের সর্বপ্রথম কাজ। এই সাধনায় যখন সিদ্ধ হইব । তখন জল-স্বলে-আকাশে সেই শাস্তস্বরূপকে দেখিব, ৰিনি জগতের অসংখ্য শক্তিকে