পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী بین 2)3 আর স্বস্থির হতে দেবে না, আরামের শষ্য আমাকে দগ্ধ করতে থাকবে, তখন বলতেই হবে যেনাহং নামৃত স্তাম কিমহং তেন কুর্ষাম । ২৫ আগ্রহায়ণ দুঃখ আমাদের উপাসনার মন্ত্রে আছে, নমঃ সম্ভবায় চ ময়োভবায় চ—মুখকরকে নমস্কার করি, কল্যাণকরকে নমস্কার। কিন্তু আমরা সুখকরকেই নমস্কার করি, কল্যাণকরকে সব সময়ে নমস্কার করতে পারি নে। কল্যাণকর যে শুধু সুখকর নন, তিনি ষে দুঃখকর । আমরা সুখকেই তার দান বলে জানি আর দুঃখকে কোনো দুৰ্দৈবকৃত বিড়ম্বন বলেই জ্ঞান করি । 鹤 এই জন্তে দুঃখভীরু বেদনাকাতর আমরা দুঃখ থেকে নিজেকে বাচাবার জন্তে নানা প্রকার আবরণ রচনা করি, আমরা কেবলই লুকিয়ে থাকতে চাই। তাতে কী হয় ? তাতে সত্যের পূর্ণ সংস্পর্শ থেকে আমরা বঞ্চিত হই। ধনী বিলাসী সমস্ত আয়াস থেকে নিজেকে বঁচিয়ে কেবল আরামের মধ্যে পরিবৃত হয়ে থাকে। তাতে কী হয় ? তাতে সে নিজেকে পঙ্গু করে ফেলে ; নিজের হাত-পায়ের উপর তার অধিকার থাকে না, যে সমস্ত শক্তি নিয়ে সে পৃথিবীতে জন্মেছিল সেগুলি কর্ম অভাবে পরিণত হতে পারে না, মুষড়ে যায়, বিগড়ে যায়। স্বরচিত আবরণের মধ্যে সে একটি কৃত্রিম জগতে বাস করে । কৃত্রিম জগৎ আমাদের প্রকৃতিকে কখনোই তার সমস্ত স্বাভাবিক খাদ্য জোগাতে পারে না, এইজন্তে সে অবস্থায় আমাদের স্বভাব একটি ঘরগড় পুতুলের মতো হয়ে ওঠে, পূর্ণতালাভ করে না । দুঃখের আঘাত থেকে আমাদের মনকে ভয়ে ভরে কেবলই বঁচিয়ে রাখবার চেষ্টা । করলে জগতে আমাদের অসম্পূর্ণভাবে বাস করা হয় সুতরাং তাতে কখনোই আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষা ও শক্তির পরিণতি হয় না । পৃথিবীতে এসে যে ব্যক্তি দুঃখ পেলে না সে লোক ঈশ্বরের কাছ থেকে তার সব পাওনা পেলে না—তার পাখেন কম পড়ে গেল । ... }. o ് বাদের স্বভাব অতিবেদনশীল, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব সবাই তাদের খড়িয়ে চলে –সে ছোটােকে বড়ো করে তোলে বলেই লোকে কেবলই বলে কাজ মেই--ভার সম্বন্ধে লোকের কথাবার্তা ব্যবহার কিছুই স্বাভাবিক হয় না। সে সব কথা শোনে না কিংবা ঠিক কথা শোনে না—তার বা উপযুক্ত পাওমা তা সে সবটা পায় না কিংবা