পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4 త్రిఫ్చి * রবীন্দ্র-রচনাবলী পূর্বদিকের প্রান্তে এসে দাড়াবেন তখন আমরা কয় জনেই শুদ্ধ হয়ে বসে অস্থম্ভব করব আমাদের প্রত্যেক দিনই মহিমান্বিত ঐশ্বর্ধময়,—আমাদের জীবনের তুচ্ছত৷ তাকে লেশমাত্র মলিন করে নি-প্রতিদিনই সে নবীন, সে উজ্জল, সে পরমাশ্চর্ষ—তার 呜 ཅང་ཨཱ་ཨཱ་ཀ་ར་ཚང་མ་ཨ་ཅེ་ཝ་རྣམས་ཁང་ག༠ ཨ“ཐབཞི་ལྟ་བ་ས་ཐ་ Q Q. সঞ্চয়-তৃষ্ণ একদিনের প্রয়োজনের বেশি যিনি সঞ্চয় করেন না আমাদের প্রাচীন সংহিতায় সেই দ্বিজ গৃহীকেই প্রশংসা করছেন। কেননা একবার সঞ্চয় করতে আরম্ভ করলে ক্রমে আমরা সঞ্চয়ের কল হয়ে উঠি, তখন আমাদের সঞ্চয় প্রয়োজনকেই বহুদূরে ছাড়িয়ে চলে যায়, এমনি কি, প্রয়োজনকেই বঞ্চিত ও পীড়িত করতে থাকে। আধ্যাত্মিক সঞ্চয় সম্বন্ধেও যে এ-কথা খাটে না তা নয়। আমরা যদি কোনো পুণ্যকে মনে করি ষে ভবিষ্কং কোনো একটা ফললাভের জন্তে তাকে জমাচ্ছি, তা হলে জমানোটাই আমাদের পেয়ে বসে—তার সম্বন্ধে আমরা কৃপণের মতো হয়ে উঠি— তার সম্বন্ধে আমাদের স্বাভাবিকতা একেবারে চলে যায় ; সব কথাতেই কেবল আমরা সুন্দর দিকে তাকাই, লাভের হিসাব করতে থাকি । Q এমন অবস্থায় পুণ্য আমাদের আনন্দকে উপবাসী করে রাখে এবং মনে করে উপবাস করেই সেই পুণ্যের বৃদ্ধিলাভ হচ্ছে । এইরূপ আধ্যাত্মিক সাধনাক্ষেত্রেও অনেক কৃপণ আহারকে জমিয়ে তুলে প্রাণকে নষ্ট করে । আধ্যাত্মিক গৃহস্থালিতে আমরা কালকের জন্তে আজকে ভাবব না। তা যদি করি তবে আজকেরটাকেই বঞ্চিত করব। আমরা জমানোর কথা চিন্তাই করব না, আমরা খরচই জানি । আমাদের প্রতিদিনের উপাসনা যেন আমাদের প্রতিদিনের নিঃশেষ সামগ্ৰী হয়। মনে করব না তার থেকে আমরা শান্তিলাভ করব, পুণ্যলাভ করব, ভবিষ্কতে কোনো একসময়ে পরিত্রাণলাভ করব, বা আর কিছু। যা কিছু সংগ্রহ হয়েছে তা হাতে হাতে সমস্তই তাকে ঢেলে শেষ করে দিতে হবে ; তাকেই দেওয়াতেই সেই দেওয়ার শেষ । 1 * যদি আমরা মনে করি তার উপাসনা করে আমার পুণ্য হচ্ছে তাহলে সমস্ত পূজা ঈশ্বরকে দেওয়া হয় না পুণ্যের জন্তেই তার অনেকখানি জমানে হয়। যদি মনে করতে আরম্ভ কৰি ঈশ্বরের যে কাজ করছি তার থেকে লোকহিত হবে তাহলে লোকহিতের উত্তেজনাটা ক্রমেই ঈশ্বরের প্রসালোভকে খর্ব করে দিয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। i