পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাজতে থাকে-ষাতে আমাদের প্রত্যেক কৃথাটি এবং ব্যবহারটিকে সেই স্বরের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে বিচার করতে পারি এবং সমস্ত দিনকে বিশুদ্ধ সংগীতে পরিণত করে সংসারের কর্মক্ষেকে আনন্দক্ষেত্র করে তুলতে পারি। ১৪ পৌৰ ○ーラiびマラ প্রভাতের এই পবিত্র প্রশস্ত মুহূর্তে নিজের আত্মাকে পরমাত্মার মধ্যে একবার সম্পূর্ণ সমাবৃত করে দেখো সমস্ত ব্যবধান দূর হয়ে যাক। নিমগ্ন হয়ে যাই, নিবিষ্ট হয়ে যাই, তিনি নিবিড়ভাবে আমাদের আত্মাকে গ্রহণ করেছেন এই উপলব্ধি দ্বারা একান্ত পরিপূর্ণ হয়ে উঠি । নইলে আমাদের আপনার সত্য পরিচয় হয় না। ভূমার সঙ্গে যোগযুক্ত করে না দেখলে নিজেকে ক্ষুদ্র বলে ভ্রম হয়, নিজেকে দুর্বল বলে মিথ্যা ধারণা হয়। আমি যে কিছুমাত্র ক্ষুদ্র নই, অশক্ত নই, মানবসমাজে মহাপুরুষেরা তার প্রমাণ দিয়েছেন—তাদের যে সিদ্ধি সে আমাদের প্রত্যেকের সিদ্ধি –আমাদের প্রত্যেক আত্মার শক্তি তাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ হয়েছে। বাতির উর্ধ্বভাগ যখন আলোকশিখা লাভ করেছে তখন সে লাভ সমস্ত বাতির বাতির নিতান্ত নিম্ন ভাগেও সেই জলবার ক্ষমতা রয়েছে - যখন সময় হবে সেও জলবে—যখন সময় না হবে তখন সে উপরের জলন্ত অংশকে ধারণ করে থাকবে । প্রতিদিন প্রভাতের উপাসনায় নিজের ভিতরকার মানবাত্মার সেই মাহাত্ম্যকে আমরা যেন একেবারে বাধামুক্ত করে দেখে নিতে পারি। নিজেকে দীন দরিত্র বলে আমাদের ষে ভ্ৰম আছে সেই ভ্রম যেন দূর করে যেতে পারি। আমরা ষে কেবল ঘরের কোণে জন্মলাভ করেছি বলে একটা সংস্কার নিয়ে বসে আছি সেটা যেন ত্যাগ করে স্পষ্ট অনুভব করি ভূভূবঃ স্বলোকে আমার এই শরীরের জন্ম সেইজন্তে বহুলক্ষ ষোজন দূর পথ হতে আমাদের জ্যোতিক কুটুৰগণ আমাদের তত্ত্ব নেবার জন্তে আলোকের দূত পাঠিয়ে দিচ্ছন। আর আমার অহংকারটুকুর মধ্যেই ষে আমার আত্মার চরম আবাস তা নয়— ষে অধ্যাঙ্কলোকে তার স্থিতি সে হচ্ছে ব্ৰহ্মলোক। ষে জগৎসভায় আমরা এসেছি এখানে রাজত্ব করবার আমাদের অধিকার, এখানে আমরা দাসত্ব করতে আসি নি । ৰিনি ৰূম তিনি স্বয়ং আমাদের ললাটে রাজটক পরিয়ে পাঠিয়েছেন। অতএব আমরা যেন নিজেকে অকুলীন বলে মাখা ছেট করে সংকুচিত হয়ে সংসারে সঞ্চরণ না করি— নিজের জনৰ আভিজাত্যের গৌরবে নিজের উচ্চ স্থানটি যেন গ্রহণ করতে পারি। همه مساساني ه .