পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©8 রবীন্দ্র-রচনাবলী আকাশের অন্ধকার যেমন নিতান্ত কাল্পনিক পদার্থের মতো দেখতে দেখতে কেটে গেল—আমাদের অন্তরপ্রকৃতির চারদিক থেকে সমস্ত মিথ্যা সংস্কার তেমনি করে মুহূর্তে কেটে যাক। আমাদের আত্মা উদয়োম্মুখ স্বর্ষের মতো আমাদের চিত্তগগনে তার বাধামুক্ত জ্যোতির্ময় স্বরূপে প্রকাশ পাক —তার উজ্জল চৈতন্যে তার নির্মল আলোকে আমাদের সংসারক্ষেত্র সর্বত্র পূর্ণভাবে উদ্ভাসিত হ’ক । ১৫ পৌষ বিশেষ জগতের সর্বসাধারণের সঙ্গে সাধারণভাবে আমার মিল আছে-ধূলির সঙ্গে পাথরের সঙ্গে আমার মিল আছে, ঘাসের সঙ্গে গাছের সঙ্গে আমার মিল আছে ; পশুপক্ষীর সঙ্গে আমার মিল আছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার মিল আছে ; কিন্তু এক জায়গায় একেবারে মিল নেই—যেখানে আমি হচ্ছি বিশেষ। আমি যাকে আজ আমি বলছি এর আর কোনো দ্বিতীয় নেই। ঈশ্বরের অনন্ত বিশ্বস্বষ্টির মধ্যে এ-স্বষ্টি সম্পূর্ণ অপূর্ব— এ কেবলমাত্র আমি, একলা আমি, অনুপম অতুলনীয় আমি । এই আমির ষে জগৎ সে একলা আমারই জগৎ—সেই মহা বিজনলোকে আমার অন্তৰ্বামী ছাড়া আর কারও প্রবেশ করবার কোনো জো নেই। হে আমার প্রভু, সেই যে একলা আমি, বিশেষ আমি, তার মধ্যে তোমার বিশেষ আনন্দ, বিশেষ আবির্ভাব আছে—সেই বিশেষ আবির্ভাবটি আর কোনো দেশে কোনো কালে নেই। আমার সেই বিশিষ্টতাকে আমি সার্থক করব প্রভু। আমি নামক তোমার সকল হতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এই ষে একটি বিশেষ লীলা আছে, এই বিশেষ লীলায় তোমার সঙ্গে যোগ দেব। এইখানে একের সঙ্গে এক হয়ে মিলব। পৃথিবীর ক্ষেত্রে আমার এই মানবজন্ম তোমার সেই বিশেষ লীলাটিকে যেন সৌন্দর্ষের সঙ্গে সংগীতের সঙ্গে পবিত্রতার সঙ্গে মহত্বের সঙ্গে সচেতনভাবে বহন করে নিয়ে স্থায় । আমাতে তোমার যে একটি বিশেষ অধিষ্ঠান আছে সে কথা যেন কোনোদিন কোনোমতেই না ভোলে । অনন্ত বিশ্বসংসারে এই যে একটি আমি হয়েছি মানবজীবনে এই पञांबि जॉर्षक इ'क ! এই আমিটকে আর সকল হতে স্বতন্ত্র করে অনাদিকাল থেকে তুমি বহন করে আনছ স্বৰ্ষ চজ গ্রহ তারার মধ্যে দিয়ে একে হাতে ধরে নিয়ে এসেছ কিন্তু কারও