পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टिन | Stro মাইক্রোফোটােমিটার, এ ছেলে-পাস-কারাবার কলার ভেলা নয়। একবার এখানে আসন গেড়ে বোস দেখি। সেই তোমার টাকপড়া মাথার প্রোফেসর।- নাম করতে চাই নে- দেখি কেমন তার মুখ চুন হয়ে না যায়। আমার ছাত্র হয়ে যখন তুই বিদ্যে শুরু করলি আমি তোকে বলি নি কি, তোর নাকের সামনে ফুলছে যাকে কথায় বলে ভবিষ্যৎ । হেলাফেলা করে সেটাকে ফোপরা করে দিস নে যেন । তোর জীবনীর প্রথম চ্যাপিটারের এক কোলে আমার নামটাও ছোটাে অক্ষরে লেখা। যদি থাকে, সেটা হবে। আমার মন্ত গুরুদক্ষিণা ।” দেখতে দেখতে বিজ্ঞানী জেগে উঠল । জ্বলে উঠল তার দুই চোখ। চেহারাটা একেবারে ভিতর থেকে গেল বদলে । মুগ্ধ হয়ে সোহিনী বললে, ”তোমাকে যে-কেউ জানে তারা সকলেই তোমার এত বড়ো উন্নতির আশা করে যা প্রতিদিনের জিনিস নয়, যা চিরদিনের। কিন্তু আশা যতই বড়ো, ততই বড়ো তার বাধা ভিতরে বাইরে ।” অধ্যাপক রেবতীর পিঠে আর-একবার দিলে একটা মন্ত চাপড়। কনকান করে উঠল তার শিরদাঁড়া ! চৌধুরী তার মন্ত ভারী গলায় বললেন, “দেখ, রোবু, যে মহৎ ভবিষ্যতের বাহন হওয়া উচিত ছিল ঐরাবত, কৃপণ বর্তমান চাপিয়ে দেয় তাকে গোরুর গাড়িতে, কাদায় পড়ে থাকে। সে আচল হয়ে ; শুনছ, সোহিনী, সুহি ?- না না ভয় নেই, পিঠে চাপড় মারব না। বলে সত্যি করে কথাটা আমি কেমন গুছিয়ে বলেহি ।” "53. " *65 frcą G3M (53 wrfitz " “তা রাখব ?” “কথাটার মানেটা বুকেছিস তো রেবি ?” “বোধ হয় বুঝেছি। ” "মনে রাখিস মন্ত প্রতিভার মন্ত দায়িত্ব । ও তো কারও নিজের জিনিস নয়। ওর জবাবদিহি অনন্তকালের কাছে । শুনহ সুহি, শুনিছ ? কথাটা কেমন বলেছি বলে তো ভাই ।” “খুব ভালো বলেছেন ; আগেকার দিনের রাজা থাকলে গলা থেকে মালা খুলে-” * TRT GE ANG MRI, ks.--" “ ঐ কিন্তুটুকু মরে নি, মনে থাকবে ।” রেবতী বললে, “ভয় নেই, কিছুতে আমাকে দুর্বল করবে না।” সেহিনীকে পা হয়ে প্ৰণাম করতে গেল । সেহিনী তাড়াতাড়ি আটকিয়ে দিলে । চৌধুরী বললে, “আয়ে করলে কী । পুণ্যকর্ম না করার দোষ আছে, পুণ্যকর্মে বাধা দেওয়ার দোষ আরো বেশি ।” সোহিনী বললে, “প্ৰণাম যদি করতে হয় তো ঐখানে ৷”- বলে বেদীর উপরে বসানো নাগকিশোরের একটি মূৰ্তি দেখিয়ে দিলে। ধূপধুনো জ্বলছে, ফুলে তরে আছে। থালা । বললে, “পাতকীকে উদ্ধার করার কথা পুরাণে পড়েছি। আমাকে উদ্ধার করেছেন। ঐ মহাপুরুষ । অনেক নীচে নামতে হয়েছিল, শেষকালে তুলে বসাতে পেরেছেন- পাশে বললে মিথ্যে হবে, তার পায়ের তলায় । বিদ্যার পথে মানুষকে উদ্ধার করবার দীক্ষা তিনি আমাকে দিয়ে গেছেন। বলে গিয়েছেন যেন মেয়েজামাইয়ের শুমাির বাড়াবার জন্যে তার জীবনের খনিখোড়া রত্ন ছাইয়ের গাদায় ইমিয়ে না ফেলি। বললেন,"ঐখানে রেখে গেলেম আমার সদগতি, আর সদগতি আমার দেশের।” অধ্যাপক বললেন, “শুনিলি তো রোবু ? এটা হবে ট্রাস্ট সম্পত্তি, তোকে দেওয়া হবে তার কর্তৃত্ব ।” রেবতী ব্যন্ত হয়ে বললে, “কর্তৃত্ব নেবার যোগ্য আমি নই। আমি পারব না।” সোহিনী বললে, “পারবে না ! ছি, এ কি পুরুষের মতো কথা।” মোবতী বললে, “আমি চিরদিন পড়াশুনো করে এসেছি, এরকম কাজের ভার কখনো নিই নি।” চৌধুরী বললেন, "ডিম কোটাৰায় আগে কখনোইস সাতার দেয়নি। আজ তোমার ডিমের খোলা