পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8o রবীন্দ্র-রচনাবলী পাত্রের সন্ধান মিলল। তার টাকাও বিস্তর, বয়সও বিস্তর, আর নাতিনাতনির সংখ্যাও অল্প নয়। उाव्र प्रादब्रांत्वन औभा हिल नां । খুড়ো বললেন, মেয়ের কপাল ভালো। এমন সময় গায়ে-হলুদের দিনে মেয়েটিকে দেখা গেল না, আর পাশের বাসার সেই ছেলেটিকে। খবর এল, তারা লুকিয়ে বিবাহ করেছে। তাদের জাতের মিল ছিল না, ছিল কেবল মনের মিল। সকলেই নিন্দে করলে । লক্ষপতি তার ইষ্টদেবতার কাছে সোনার সিংহাসন মািনত করে বললেন, “এ ছেলেকে কে বাচায়।” ছেলেটিকে আদালতে দাঁড় করিয়ে বিচক্ষণ সব উকিল প্ৰবীণ সব সাক্ষী দেবতার কৃপায় দিনকে রাত করলে তুললে। সে বড়ো আশ্চর্য। সেইদিন ইষ্টদেবতার কাছে জোড়া পাঠ কাটা পড়ল, ঢাক ঢোল বাজল, সকলেই খুশি হল । বললে, “কলিকাল বটে, কিন্তু ধর্ম এখনো জেগে আছেন।” V তার পরে অনেক কথা । জেল থেকে ছেলেটি ফিরে এল। কিন্তু, দীর্ঘ পথ আর শেষ হয় না। তেপান্তর মাঠের চেয়েও সে দীর্ঘ এবং সঙ্গীহীন । কতবার অন্ধকারে তাকে শুনতে হল, “ইউমাউখাউ, মানুষের গন্ধ পাউ ।” মানুষকে খাবার জন্যে চারি দিকে এত লোভ । রাস্তার শেষ নেই। কিন্তু চলার শেষ আছে। একদিন সেই শমে এসে সে থামল । সেদিন তাকে দেখবার লোক কেউ ছিল না । শিয়রে কেবল একজন দয়াময় দেবতা জেগে ছিলেন । তিনি যম । সেই যমের সোনার কাঠি যেমনি ছোয়ানো অমনি এ কী কাণ্ড ! শহর গেল মিলিয়ে, স্বপ্ন গোল (S8 মুহূর্তে আবার দেখা দিল সেই রাজপুত্ত্বর। তার কপালে অসীমকালের রাজটিকা। দৈত্যপুরীর দ্বার সে ভাঙবে, রাজকন্যার শিকল সে খুলবে। যুগে যুগে শিশুরা মায়ের কোলে বসে খবর পায়- সেই ঘরছাড়া মানুষ তেপান্তর মাঠ দিয়ে কোথায় চলল। তার সামনের দিকে সাত সমুদ্রের ঢেউ গর্জন করছে। ইতিহাসের মধ্যে তার বিচিত্র চেহারা ; ইতিহাসের পরপরে তার একই রূপ, সে রাজপুকুর। vaffaq yoqty সুয়োরানীর সাধ সুয়োরানীর বুঝি মরণকাল এল। তার প্রাণ হাঁপিয়ে উঠছে, তার কিছুই ভালো লাগছে না। বন্দি বড়ি নিয়ে এল। মধু দিয়ে মেড়ে বললে, ”খাও ” সে ঠেলে ফেলে দিলে । রাজার কানে খবর গেল। রাজা তাড়াতাড়ি সভা ছেড়ে এল। পাশে বসে জিজ্ঞাসা করলে, "(ठाभाव की श्gछ, कैी फ़ाई।" সে গুমরে উঠে বললে, “তোমরা সবাই যাও ; একবার আমার স্যাঙাৎনিকে ডেকে দাও।” সাঙাৎনি এল । রানী তার হাত ধরে বললে, “সই, বোসো। কথা আছে।” সাঙাৎনি বললে, “প্ৰকাশ করে বলে ।”