পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৮

VO A 8 ब्रदोक्ष-शष्नावली বলতে বলতে আকাশে কে যেন পরশমণি ছুইয়ে দিলে। সোনার আলোয় চার দিক ঝলমল করে। উঠল। কোথা থেকে একটা রব উঠে গেল, “দৃত এসেছে।” ” আমি মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে দূতের উদ্দেশে জিজ্ঞাসা করলেম, “আসছেন নাকি।” চার দিক থেকে জবাব এল, “ই, আসছেন ।” মন ব্যস্ত হয়ে বলে উঠল, “কী করি ! সবেমাত্র আমার ছয়তলা বাড়ির ছাদ পিটোনো চলছে ; আর সাজ-সরঞ্জাম সব তো এসে পৌঁছল না।” উত্তর শোনা গেল, “আরো ভাঙো ভাঙো, তোমার ছাতলা বাড়ি ভাঙো ।” ଅଘ୍ନ ଅଙ୍ଗା(ଙ୍ଗୀ, *(.*?ref ।” উত্তর এল, “আজি আগমনী যে । তোমার ইমারতটাি বুক ফুলিয়ে পথ আটকেছে।” মন অবাক হয়ে রইল । আবার শুনি, “বেঁটিয়ে ফেলো তোমার সাজ-সরঞ্জাম । মন বললে, “কেন।” “তোমার সরঞ্জাম যে ভিড় করে জায়গা জুড়েছে।” যাক গে। কাজের দিনে বসে বসে ছাতলা বাড়ি গাথলেম, ছুটির দিনে একে একে সাব-কটা তলা ধূলিসাৎ করতে হল। কাজের দিনে সাজ-সরঞ্জাম হাটে হাটে জড়ো করা গেল, ছুটির দিনে সমস্ত বিদায় করেছি । কিন্তু, মন্ত বড়ো রথের চুড়ো কোথায়, আর মস্ত ভারি সমারোহ ? মন চার দিকে তাকিয়ে দেখলে । কী দেখতে পেলে । afgesprof(NOS SK Voight | কেবল ঐটুকু ? ই, ঐটুকু । আর দেখতে পেলে শিউলিবনের শিউলিফুল । কেবল ঐটুকু ? খুফু। আর দেখা দিল লেজ বুলিয়ে তােরবেলকর একটি বােলে পাৰি। VK K || আর, একটি শিশু, সে খিলখিল করে হাসতে হাসতে মায়ের কোল থেকে ছুটে পালিয়ে এল বাইরের আলোতে । “তুমি যে বললে আগমনী, সে কি এরই জন্যে ।” “হী, এরই জন্যেই তো প্রতিদিন আকাশে বঁশি বাজে, ভোরের বেলায় আলো হয় ।” *এরই জন্যে এত জায়গা চাই ?” “ই গো, তোমার রাজার জন্যে সাতমহলা বাড়ি, তোমার প্রভুর জন্যে ঘরভরা সরঞ্জাম । আর, এদের জন্যে সমস্ত আকাশ, সমস্ত পৃথিবী ।” “আর, মস্ত বড়ো ?” ” “মন্ত বড়ো এইটুকুর মধ্যেই থাকেন।” “ ঐ শিশু তোমাকে কী বর দেবে।” ৰ “ঐ তো বিধাতার বর নিয়ে আসে। সমস্ত পৃথিবীর আশা নিয়ে, অভয় নিয়ে, আনন্দ নিয়ে । ওরই গোপন তুণে লুকোনো থাকে ব্ৰহ্মাত্র, ওরই হৃদয়ের মধ্যে ঢাকা আছে শক্তিশেল ।” মন আমাকে জিজ্ঞাসা করলে, “ই গো কবি, কিছু দেখতে পেলে, কিছু বুঝতে পারলে ?” লািগলে, “সেইজনাই দুষ্ট বিরোধ। এতদিন সময়ছিল না, তাই দেখতে পাই দি বুঝতে יין <31 y9SV