পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরোগ্য আমি শান্ত দৃষ্টি মেলি নিভৃত প্রহরে পাঠায়েছি নিঃশব্দ বন্দনা সেই সবিতারে র্যার জোতীরাপে প্ৰথম মানুষ মর্তের প্রাঙ্গণতলে দেবতার দেখেছে স্বরূপ । মনে মনে ভাবিয়াছি, প্রাচীন যুগের বৈদিক মন্ত্রের বাণী কণ্ঠে যদি থাকিত অামার, মিলিত আমার স্তব স্বচ্ছ এই আলোকে আলোকে ; ভাষা নাই, ভাষা নাই ; চেয়ে দুর দিগন্তের পানে মীেন মোর মেলিয়াছি পাগুনীল মধ্যাহ্ন-আকাশে । উদয়ন y Gorff y sy || ? | পূর্বপাঠ ; ৭ পৌষ ২২ ডিসেম্বর ১৯৪০ } ঘণ্টা বাজে দূরে । শহরের অভ্ৰভেদী আত্মঘোষণার মুখরতা মন থেকে লুপ্ত হয়ে গেল, আতপ্ত মাঘের রৌদ্রে অকারণে ছবি এল চোখে জীবনযাত্রার প্রান্তে ছিল যাহা অনতিগোচর । গ্রামগুলি গেঁথে গেথে মেঠো পথ গেছে দূর পানে নদীর পাড়ির পর দিয়ে । প্ৰাচীন অশাথতলা, খেয়ার আশায় লোক বসে পাশে রাখি হাটের পসরা । গঞ্জের টিনের চালাঘরে গুড়ের কলস সারি সারি, চোটে যায় হ্রাণলুব্ধ পাড়ার কুকুর, ভিড় করে মাছি। রাস্তায় উপুড়মুখো গাড়ি পাটের বোঝাই ভরা, একে একে বস্তা টেনে উচ্চস্বরে চলেছে। ওজন আড়তের আঙিনায় । বাধা-খোলা বলদেরা রাস্তার সবুজ প্রান্তে ঘাস খেয়ে ফেরে, লেজের চামর হানে পিঠে । সর্বে আছে ত্বপাকার গোলায় তোলার অপেক্ষায় ।