পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা একটি সংকীর্ণ মহাক্ষিণ উচ্ছলিত দেয় ঢেলে আপনার সব-কিছু দান । সে সম্পদ দেখা দেয়। লয়ে নৃত্য, লয়ে গান, ফেনিল কল্লোল রাশি রাশি । সে-মুহূর্তধারা ক্রমে আজ হল হারা সুদূরের মাঝে । সে-সুদূরে বাজে মহাসমুদ্রের গাথা । সেইখানে আছে পাতা বিরাটের মহাসন কালের প্রাঙ্গণে । সর্ব দুঃখ, সর্ব সুখ মেলে সেথা প্ৰকাণ্ড মিলনে । সেথা আকাশের পটে অস্ত-উদায়ের শৈলীতটে রবিচ্ছবি আঁকিল যে অপরূপ মায়া তারি সঙ্গে গাথা পড়ে রজনীর ছায়া । সেথা আজ যাত্রী দুইজনে শাস্ত হয়ে চেয়ে আছে সুদূর গগনে । কিছুতে বুঝিতে নাহি পারে কেন বারে বারে দুই চক্ষু ভরে ওঠে। জলে । ভাবনার সুগভীর তলে ভাবনার অতীত যে-ভাষা করিয়াছে বাসা অকথিত কোন কথা কী বারতা কঁপাইছে বক্ষের পঞ্জরে । বিশ্বের বৃহৎ বাণী লেখা আছে যে মায়া-অক্ষরে, তার মধ্যে কতটুকু শ্লোকে ওদের মিলনলিপি, চিহ্ন তার পড়েছে কি চোখে ! শান্তিনিকেতন] ৫ জুলাই ১৯৩২ রাত্রিরূপিণী হে রাত্রিরূপিণী, আলো জ্বালো একবার ভালো করে চিনি । দিন যার ক্লান্ত হল। তারই লাগি কী এনেছ বর, জানাক তা তব মৃদু স্বর।