পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5闵3瓦 RN 8 সেখানেই তাহার একটা আকর্ষণ ছিল, এবং যেখানে শাসন সেখানেই লঙ্ঘন করিবার জন্য তাহার চিত্ত চঞ্চল হইয়া থাকিত । জনশ্রুতি আছে, বাল্যকালে তাহার পিসিমার স্বভাবটিও এইরূপ ছিল । জয়কালী তখন মাতৃস্নেহমিশ্রিত ভক্তির সহিত ঠাকুরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া দালানে বসিয়া একমনে মালা জপিতেছিলেন । বালকটি নিঃশব্দপদে পশ্চাৎ হইতে আসিয়া মাধবীতলায় দাড়াইল । দেখিল, নিম্ন শাখার ফুলগুলি পূজার জন্য নিঃশেষিত হইয়াছে। তখন অতি ধীরে ধীরে সাবধানে মঞ্চে আরোহণ করিল। উচ্চশাখায় দুটি-একটি বিকচোমুখ কুঁড়ি দেখিয়া যেমন সে শরীর এবং বাহু প্রসারিত করিয়া তুলিতে বাইবে আমনি সেই প্ৰবল চেষ্টার ভরে জীৰ্ণ মঞ্চ সশব্দে ভাঙিয়া পড়িল । আশ্রিত লতা এবং বালক একত্রে ভূমিসাৎ হইল । তাহাকে মাটি হইতে তুলিলেন । আঘাত তাহার যথেষ্ট লাগিয়াছিল, কিন্তু সে আঘাতকে শান্তি বলা যায় না, কারণ, তাহা অজ্ঞান জড়ের আঘাত । সেইজন্য পতিত বালকের ব্যথিত দেহে জয়কালীর সংজ্ঞান শাস্তি মুহুর্মুহু সাবলে বর্ষিত হইতে লাগিল । বালক একবিন্দু অশ্রষ্টপাত না করিয়া নীরবে সহ্য করিল। তখন তাহার পিসিমা তাহাকে টানিয়া লইয়া ঘরের মধ্যে রুদ্ধ করিলেন । তাহার সেদিনকার বৈকালিক আহার নিষিদ্ধ হইল । আহার বন্ধ হইল শুনিয়া দাসী মোক্ষদা কাতর কষ্ঠে ছলছলনেত্ৰে বালককে ক্ষমা করিতে অনুনয় করিল । জয়কালীর হৃদয় গলিল না । ঠাকুরানীর অজ্ঞাতসারে গোপনে ক্ষুধিত বালককে কেহ যে খাদ্য দিবে, বাড়িতে এমন দুঃসাহসিক কেহ ছিল না । ܢ বিধবা মঞ্চসংস্কারের জন্য লোক ডাকিতে পাঠাইয়া পুনর্বার মালহন্তে দালানে আসিয়া বসিলেন । মোক্ষদা কিছুক্ষণ পরে সভয়ে নিকটে আসিয়া কহিল, “ঠাকুরমা, কাকাবাবু ক্ষুধায় কাদিতেছেন, তাহাকে কিছু দুধ আনিয়া দিব কি ?” জয়কালী অবিচলিত মুখে কহিলেন, “না ।” মোক্ষদা ফিরিয়া গেল। অদূরবতী কুটিরের কক্ষ হইতে নলিনের করুশ ক্ৰন্দন ক্ৰমে ক্রোধের গর্জনে পরিণত হইয়া উঠিল- অবশেষে অনেকক্ষপ পরে তাহার কাতরতার শ্ৰান্ত উচ্ছাস থাকিয়া থাকিয়া জাপানিরতা পিসিমার কানে আসিয়া কবনিত হইতে লাগিল । নলিনের আর্তকণ্ঠ যখন পরিশ্রান্ত ও মৌনপ্রায় হইয়া আসিয়াছে এমন সময় আর-একটি জীবের ভীত কাতরধ্বনি নিকটে ধ্বনিত হইতে লাগিল এবং সেইসঙ্গে ধাবমান মানুয্যের দূরবতী চীৎকার শব্দ মিশ্রিত হইয়া মন্দিরের সম্মুখস্থ পথে একটা তুমুল কলরব উথিত হইল । সহসা প্রাঙ্গণের মধ্যে একটা পদশব্দ শোনা গেল। জয়কালী পশ্চাতে ফিরিয়া দেবিলেন, ভূপৰ্যন্ত মাধবীলতা আন্দোলিত হইতেছে । সরোবকণ্ঠে ডাকিলেন, “নীলিন ?” কেহ উত্তর দিল না । বুঝিলেন, অবাধ্য নলিন বন্দীশালা হইতে কোনোক্রমে পলায়ন করিয়া পুনরায় তাহাকে রাগাইতে আসিয়াছে । তখন অত্যন্ত কঠিনভাবে অথরের উপরে ওষ্ঠ চাপিয়া বিধবা প্রাঙ্গণে নমিয়া আসিলেন । লতাকুজের নিকট পুনরায় ডাকিলেন, “নীলিন !” উত্তর পাইলেন না । শাখা তুলিয়া দেখিলেন, একটা অত্যন্ত মলিন শূকর প্রাণভয়ে ঘন পল্পকের মধ্যে আশ্ৰয় লইয়াছে । বে লতাবিতান এই ইউকিপ্রাচীরের মধ্যে বৃন্দাবিপিনের সংক্ষিপ্ত প্রতিরূপ, বাহর বিকশিত SBBBT00O BBBB0LB BBBD DBBYYS DDBB BBB BBB BrBBK BBDBDBBB অকস্মাৎ এই বীভৎস ব্যাপার ঘটিল । পূজারি ব্ৰাহ্মণ লাঠি হন্তে তাড়া করিয়া আসিল ।