পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܓ ܘ 8 VJbQ*57G > asvo Sq রবীন্দ্র-রচনাবলী আমি সাধারণ । তরুর মতন আমি, নদীর মতন । আলোরে ললাটে লই ডাকি যে আলোক উচ্চ-নীচ ইতরের বাহিরের ভিতরের । সমস্ত পৃথিবী তুমি অবজ্ঞায় করেছি। অশুচি, গরবিনী, তাই সেই শক্তি গেছে ঘুচি আপনার অন্তরে রহিতে অমলিনা হায়, তুমি, নিখিলের আশীর্বাদহীনা । প্ৰলয় আকাশের দূরত্ব যে, চােখে তারে দূর বলে জানি, মনে তারে দূর নাহি মানি । কালের দূরত্ব সেও যত কেন হােক-না নিষ্ঠুর তবু সে দুঃসহ নাহে দূর । আঁধারের দূরত্বই কাছে থেকে রচে ব্যবধান, চেতনা আবিল করে, তার হাতে নাই পরিত্ৰাণ শুধু এই মাত্র নয়— সে— যে সৃষ্টি করে নিত্য ভয় । ছায়া দিয়ে রচি তুলে আঁকাবাকা দীর্ঘ উপছায়া, জানারে অজানা করে- ঘোরে তারে অর্থহীনা মায়া । পথ লুপ্ত করে দিয়ে যে পথের করে সে নির্দেশ নাই তার শেষ । সে পথ ভুলায়ে লয় দিনে দিনে দূর হতে দূরে ধ্ৰুবতারাহীন অন্ধপুরে । অগ্নিবন্যা বিস্তারিয়া যে প্ৰলয় আনে মহাকাল, চন্দ্ৰসূর্য লুপ্ত করে আবর্তে—ঘর্ণিত জটাজাল, क्रि<ता क्रोत्युिघ्क्षेक्राश C>न →नाCख्ा. বজের ঝঞ্চনােমন্দ্রে বক্ষে তার রুদ্রবীণা বাজে । যে বিশ্বে বেদনা হানে তাহারি দাহনে করে তার পবিত্ৰ সৎকার । জীর্ণ জগতের ভস্ম যুগাস্তের প্রচণ্ড নিশ্বাসে লুপ্ত হয় ঝঙ্কার বাতাসে । অবশেষে তপস্বীর তপস্যাবহিকের শিখা হতে নবসৃষ্টি উঠে আসে নিরঞ্জন নবীন আলোতে ।