পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औदनलेि 8@为 বাষ্পভরা বুদবুদ রাশি, সেই আবেগের ফেনিলতা, অলস কল্পনার আবর্তের টানে পাক খাইয় নিরর্থক ভাবে ঘুরিতে লাগিল। তাহার মধ্যে কোনোয়ণের সৃষ্টি নাই, কেবল গতির চাঞ্চল্য আছে। কেবল টগবগা করিয়া ফুটিয়া ফুটিয়া ওঠা, ফাটিয়া ফাটিয়া পড়া। তাহার মধ্যে বস্তু যাহা কিছু ছিল তাহা আমার নহে, সে অন্য কবিদের অনুকরণ ; উহার মধ্যে আমার যেটুকু সে কেবল একটা অশান্ডি, ভিতরকার একটা দুরন্ত আক্ষেপ । যখন শক্তির পরিণতি হয় নাই। অথচ বেগ জঙ্গিয়াহে তখন সে একটা ভারি অন্ধ আন্দোলনের অবস্থা । সাহিত্যে বউঠাকুরানীর প্রবল অনুরাগ ছিল। বাংলা বই তিনি যে পড়িতেন কেবল সময় কাটাইবার জন্য, তাহা নহে- তাহা যথার্থই তিনি সমন্ত মন দিয়া উপভোগ করতেন। তঁহার সাহিত্যচর্চায় আমি অংশী ছিলাম । স্বপ্নপ্রয়াণ কাব্যের উপরে তাহার গভীর শ্রদ্ধা ও শ্ৰীতি ছিল। আমারও এই কাব্য খুব ভালো লাগিত । বিশেষত, আমরা এই কাব্যের রচনা ও আলোচনার হাওয়ার মধ্যেই ছিলাম, তাই ইহার সৌন্দৰ্য সহজেই আমার হৃদয়ের তন্তুতে তন্তুতে জড়িত হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু এই কাব্য আমার অনুকরণের অতীত ছিল। কখনো মনেও হয় নাই, এইরকমের কিছু-একটা আমি লিখিয়া তুলিব । স্বপ্নপ্রয়াণ যেন একটা রূপকের অপরাপ রাজপ্রাসাদ। তাহার কতরকমের কক্ষ গবাক্ষ চিত্র মূর্তি ও কারুনৈপুণ্য। তাহার মহলগুলিও বিচিত্র। তাহার চারিদিকের বাগানবাড়িতে কত ক্ৰীড়াশৈল, কত ফোয়ারা, কত নিকুঞ্জ, কত লতাবিতান। ইহার মধ্যে কেবল ভাবের প্রাচুর্য নহে, রচনার বিপুল বিচিত্ৰতা আছে। সেই যে একটি বড়ো জিনিসকে তাহার নানা কলেবরে সম্পূর্ণ করিয়া গড়িয়া তুলিবার শক্তি, সেটি তো সহজ নহে । ইহা যে আমি চেষ্টা করিলে পারি, এমন কথা আমার কল্পনাতেও উদয় হয় নাই । এই সময়ে বিহারীলাল চক্রবতীর’ সারদামঙ্গল সংগীত আৰ্যদর্শন পত্রে বাহির হইতে আরম্ভ করিয়াছিল। বউঠাকুরানী এই কাব্যের মাধুর্যে অত্যন্ত মুগ্ধ ছিলেন। ইহার অনেকটা অংশই ঠাহার একেবারে কণ্ঠস্থ ছিল। কবিকে প্রায় তিনি মাঝে মাঝে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়া খাওয়াইতেন এবং নিজে-হাতে রচনা করিয়া তাহাকে একখানি আসন’ দিয়াছিলেন । এই সূত্রে কবির সঙ্গে আমারও বেশ একটু পরিচয় হইয়া গেল। তিনি আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন। দিনে-দুপুরে যখন তখন তাহার বাড়িতে গিয়া উপস্থিত হইতাম। র্তাহার দেহও যেমন বিপুল তাহার হৃদয়ও তেমনই প্রশস্ত। তঁহার মনের চারি দিক ঘেরিয়া কবিত্বের একটি রশ্মিমণ্ডল তাহার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরিত, তাহার যেন কবিতাময় একটি সূক্ষ্ম শরীর ছিল- তাহাঁই ঠাহার যথার্থ স্বরূপ। তঁহার মধ্যে পরিপূর্ণ একটি কবির আনন্দ ছিল। যখনই তাহার কাছে গিয়াছি, সেই আনন্দের হাওয়া খাইয়া আসিয়াছি। তাহার তেতালার নিভৃত ছােটাে ঘরটিতে পঙ্খের কাজ করা মেজের উপর উপুড় হইয়া গুন গুন আবৃত্তি করিতে করিতে মধ্যাহ্নে তিনি কবিতা লিখিতেছেন, এমন অবস্থায় অনেকদিন তাহার ঘরে গিয়াছি- আমি বালক হইলেও এমন একটি উদার হৃদ্যতার সঙ্গে তিনি আমাকে আহবান করিয়া লইতেন যে, মনে লেশমাত্ৰ । সংকোচ থাকিত না । তাহার পরে ভাবে ভোর হইয়া কবিতা শুনাইতেন, গানও গাহিতেন । গলায় যে তঁহার খুব বেশি সুর ছিল তাহা নহে, একেবারে বেসুৱাও তিনি ছিলেন না- যে সুরাটা গাহিতেছেন তাহার একটা আন্দাজ পাওয়া যাইত। গভীর গদগদ কণ্ঠে চোখ বুজিয়া গান গাহিতেন, সুরে যাহা পীছিত না ভাবে তাহা ভরিয়া তুলিতেন। তাহার কণ্ঠের সেই গানগুলি এখনো মনে পড়ে।- "বালা খেলা করে চাঁদের কিরণে, “কে মুক্তিশালী অঞ্চয়ে হিরে"। উত্তর গািনস্ক কাইয়াঅৰিও উজবেক্ষত্রে ফলে চাইতে ১ বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-৯৪)। স্ত্ৰ বিহারীলাল, আধুনিক সাহিত্য, রবীন্দ্র-রচনাবলী ১ (সুলভ সং ৫) ২ যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় প্রকাশ, ১২৮১ ৩ দ্র। বিহারীলালের সাধোয় আসন’ কাব্য, প্ৰকাশ ১২১৫ 0 LKBDDS GBuS S BBDS DESS DD SSY DDBD DLD BDDS TLDLB DD LDDDDSS DD S DBBDL DBLSS LcL SSY LDEBBBS BBLBBD EE z