পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औदनठि 8ዓዒ জুড়ি ইকাইয়া চলিয়াহি তখন লোকেদের অজস্র উৎসাহ আমার উদ্যমকে একটুও ক্লান্ত হইতে দেয় নাই।” তখনকার কত পঞ্চভূতের ডায়ারি এবং কত কবিতা মফস্বলে তাঁহারই বাংলাঘরে বসিয়া লেখা। আমাদের কাব্যালোচনা ও সংগীতের সভা কতদিন সন্ধাতারার আমলে শুরু হইয়া শুকতারার আমলে ভোরের হাওয়ার মধ্যে রাত্রের দীপশিখার সঙ্গে সঙ্গেই অবসান হইয়াছে। সরস্বতীর পদ্মবনে বন্ধুত্বের পদ্মটির পরেই দেবীর বিলাস বুঝি সকলের চেয়ে বেশি। এই বনে স্বৰ্পােরণুর পরিচয় বড়ো বেশি পাওয়া যায় নাই। কিন্তু প্ৰণয়ের সুগন্ধি মধু সম্বন্ধে নালিশ করিবার কারণ আমার ঘটে নাই। : ऊद्र्श বিলাতে আর-একটি কাব্যের পত্তন হইয়াছিল। কতকটা ফিরিবার পথে কতকটা দেশে ফিরিয়া আসিয়াই ইহা সমাধা করি। ভগ্নহৃদয় নামে ইহা ছাপানো হইয়াছিল,তখন মনে হইয়াছিল লেখাটা খুব ভালো হইয়াছে। লেখকের পক্ষে এরাপ মনে হওয়া অসামান্য নহে। কিন্তু তখনকার পাঠকদের কাছেও এ লেখাটা সম্পূর্ণ অনাদৃত হয় নাই। মনে আছে, এই লেখা বাহির হইবার কিছুকাল পরে কলিকাতায় ত্রিপুরার স্বগীয় মহারাজ বীরচন্দ্রমাণিক্যের মন্ত্ৰী” আমার সহিত দেখা করিতে আসেন। কাব্যটি মহারাজের ভালো লাগিয়াছে এবং কবির সাহিত্যসাধনার সফলতা সম্বন্ধে তিনি উচ্চ আশা পোষণ করেন, কেবল এই কথাটি জানাইবার জন্যই তিনি তঁহার অমাত্যকে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন । আমার এই আঠারোবছর বয়সের কবিতা সম্বন্ধে আমার ফ্রিশ বছর বয়সের একটি পত্রে যাহা লিখিয়ছিলাম। এইখানে উদধূত করি- “ভগ্নহৃদয় যখন লিখতে আরম্ভ করেছিলেম। তখন আমার বয়স আঠারো । বাল্যও নয় ধেীবনও নয় । বয়সটা এমন একটা সন্ধিস্থলে যেখান থেকে সত্যের আলোক স্পষ্ট পাবার সুবিধা নেই। একটু-একটু আভাস পাওয়া যায় এবং খানিকটা-খানিকটা ছায়া। এই সময়ে সন্ধ্যাবেলাকার ছায়ার মতো কল্পনাটা অত্যন্ত দীর্ঘ এবং অপরিস্ফুট হয়ে থাকে। সত্যকারী পৃথিবী একটা আজগবি পৃথিবী হয়ে উঠে। মজা এই, তখন আমারই বয়স আঠারো ছিল তা নয়- আমার আশপাশের সকলের বয়স যেন আঠারো ছিল । আমরা সকলে মিলেই একটা বস্তুহীন ভিত্তিহীন কল্পনালোকে বাস করতেম। সেই কল্পনলোকের খুব তীব্ৰ সুখদুঃখও স্বপ্নের সুখদুঃখের মতো। অর্থাৎ, তার পরিমাণ ওজন করবার কোনো সত্য পদার্থ ছিল না, কেবল নিজের মনটাই ছিল- তাই আপন মনে তিল তাল হয়ে ठेठ ।” আমার পনেরো-ষোলো হইতে আরম্ভ করিয়া বাইশ-তেইশ বছর পর্যন্ত এই যে একটা সময় গিয়াছে, ইহা একটা অত্যন্ত অব্যবস্থার কাল ছিল। যে যুগে পৃথিবীতে জলস্থলের বিভাগ ভালো করিয়া হইয়া যায় নাই, তখনকার সেই প্রথম পদ্ধান্তরের উপর বৃহদােয়তন অদ্ভুত আকার উভচর জন্তসকল আদিকালের শাখাসম্পদহীন অরণ্যের মধ্যে সঞ্চারণ করিয়া ফিরিত। অপরিণত মনের প্রদোষালোকে আবেগগুলা সেইরূপ পরিমাণ বহির্ভুত অদ্ভুতমূর্তি ধারণ করিয়া একটা নামহীন পথহীন অন্তহীন অরণ্যের ছায়ায় ঘুরিয়া বেড়াইত। তাহারা আপনাকেও জানে না, বাহিরে আপনার লক্ষ্যকেও জানে না। তাহারা নিজেকে কিছুই জানে না। বলিয়া পদে পদে আর-একটা কিছুকে নকল করিতে থাকে। অসত্য সত্যের অভাবকে অসংযমের দ্বারা পূরণ করিতে চেষ্টা করে। জীবনের সেই একটা অকৃতাৰ্থ অবস্থায় যখন অন্তর্নিহিত শক্তিগুলা বাহির হইবার জন্য ১ দ্র। “পত্রালাপ- সাধনা (ফাল্গুন ১২১৮ ভাদ্র - অফিন, ১২৯৯) রবীন্দ্র-রচনাবলী ৮ (সুলত সং ৪) ২। দেশে প্রত্যাবর্তন ? ফেব্রুয়ারি ১৮৮০ D D D D HLHS SY LEB TYS LBDM S BB DBDLDBDB LLttt 0 DLLSLLLL BBBB BBLMB BLBLBLB BLBLBLS HL BBOB LBLBBB B DL DBBDBLL S TBDDSLBLBBS ᏕᏬ8Ꭸ blley