পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক সেটা ভাসিয়ে দিতে হবে স্রোতে । সামনের আকাশে জ্বলবে একলা সন্ধ্যার তারা । যে বাশি বাজিয়েছি ভোরের আলোয়, নিশীথের অন্ধকারে, তার শেষ সুরটি বেজে থামবে রাতের শেষ প্ৰহরে । তার পরে যে জীবনের আলো নিবল, সুর থামল, সে যে এই আজকের সমস্ত কিছুর মতোই

  • ভরা সত্য ছিল, সে-কথা একেবারেই ভুলবে জানি,

ভোলাই ভালো । তবু তার আগে কোনো-একদিনের জন্য কেউ-একজন সেই শূন্যটার কাছে একটা ফুল রেখো বসন্তের যে ফুল একদিন বেসেছি ভালো । আমার এতদিনকার যাওয়া-আসার পথে শুকনো পাতা ঝরেছে, সেখানে মিলেছে আলোক ছায়া, বৃষ্টিধারায় আমর্কাঠালের ডালে ডালে জেগেছে। শব্দের শিহরন, সেখানে দৈবে কারো সঙ্গে দেখা হয়েছিল জল-ভরা ঘাট নিয়ে যে চলে গিয়েছিল চকিত পদে । এই সামান্য ছবিটুকু আর সব-কিছু থেকে বেছে নিয়ে কেউ একজন আপনি ধ্যানের পটে এঁকো কোনো-একটি গোধূলির ধূসর মুহুর্তে । আর বেশি কিছু নয় । আমি আলোর প্রেমিক ; প্রাণরঙ্গভূমিতে ছিলুম। বাঁশি-বাজিয়ে। পিছনে ফেলে যাব না একটা নীরব ছায়া দীর্ঘনিশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে । যে পথিক অন্তসূর্যের মায়মান আলোর পথ নিয়েছে। সে তো ধুলোর হাতে উজাড় করে দিলে সমন্ত আপনার দাবি ; 80