পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eos . . . এই সময়ে বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে আমার আলাপের সূত্রপাত হয়। তঁহাকে প্রথম যখন দেখি সে অনেক দিনের করিয়াছিলেন। চন্দ্রনাথ বসুমহাশয় তাহার প্রধান উদযোগী ছিলেন।” বোধ করি তিনি আশা করিয়াছিলেন কোনো এক দূর ভবিষ্যতে আমিও উহাদের এই সন্মিলনীতে অধিকার লাভ করিতে পারিব- সেই ভরসায় আমাকেও মিলনস্থানে কী একটা কবিতা পড়বার ভার দিয়েছিলেন। তখন তাহার যুবােবয়স ছিল। মনে আছে, কোনো জার্মািন যোদ্ধ কবির যুদ্ধকবিতার ইংরেজি তর্জমা তিনি সেখানে স্বয়ং পড়িবেন, এইরূপ সংকল্প করিয়া খুব উৎসাহের সহিত আমাদের বাড়িতে সেগুলি আবৃত্তি করিয়াছিলেন। কবিবীরের বামপার্থের প্ৰেয়সী সঙ্গিনী তরবারির প্রতিষ্ঠাহীর প্রেমোক্ষসগীতি যে একদিন চন্দ্রনাথবাবুর প্রিয় কবিতা ছিল ইহাতে झाझा .त्या ९ व्या व्या त्याश्या काव्यांच्या कां का সেই সন্মিলনসভার ভিড়ের মধ্যে ঘুরিতে ঘুরিতে নানা লোকের মধ্যে হঠাৎ এমন একজনকে দেখিলাম যিনি সকলের হইতে স্বতন্ত্ৰ-ধাহাকে অন্য পাঁচজনের সঙ্গে মিশাইয়া ফেলিবার জো নাই। সেই গীেরকান্তি দীর্ঘকায় পুরুষের মুখের মধ্যে এমন একটি দৃপ্ত তেজ দেখিলাম যে, তাহার পরিচয় জানিবার কৌতুহল সংবরণ করতে পারলাম না। সেদিনকার এত লোকের মধ্যে, কেবলমাত্র, তিনি কে ইহাই জানিবার জন্য প্রশ্ন করিয়াছিলাম। যখন উত্তরে শুনিলাম। তিনিই বঙ্কিমবাবু, তখন বড়ো বিস্ময় জন্মিল। লেখা পড়িয়া এতদিন যাহকে মহৎ বলিয়া জানিতাম চেহারাতেও ঠাহীর বিশিষ্টতার যে এমন একটি নিশ্চিত পরিচয় আছে সে কথা সেদিন আমার মনে খুব লাগিয়াছিল। বঙ্কিমবাবুর খড়ানাসায়, তাহার চাপা ঠোঁটে, তাহার তীক্ষদৃষ্টিতে ভারি একটা প্রবলতার লক্ষণ ছিল। বক্ষের উপর দুইহাত বদ্ধ করিয়া তিনি যেন সকলের নিকট হইতে পৃথক হইয়া চলিতেছিলেন, কাহারও সঙ্গে যেন তার কিছুমাত্র গা-ঘেঁষাঘেযি ছিল না, এইটেই সর্বাপেক্ষা বেশি করিয়া আমার চোখে ঠেকিয়াছিল। তাহার যে কেবলমাত্ৰ বুদ্ধিশালী মননশীল লেখকের ভাব তাহা নহে, তাহার ললাটে যেন একটি অদৃশ্য রাজতিলক পরানো ছিল। এইখানে একটি ছোটাে ঘটনা ঘটিল, তাহার ছবিটি আমার মনে মুদ্রিত হইয়া গিয়াছে। একটি ঘরে একজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত স্বদেশ সম্বন্ধে তাহার কয়েকটি স্বরচিত শ্লোক পড়িয়া শ্রোতাদের কাছে তাহার বাংলা ব্যাখ্যা করিতেছিলেন। বঙ্কিমবাবু ঘরে ঢুকিয়া একপ্রান্তে দাড়াইলেন। পণ্ডিতের কবিতার একস্থলে, অশ্লীল নহে, কিন্তু ইতর একটি উপমা ছিল। পণ্ডিতমহাশয় যেমন সেটিকে ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করিলেন অমনি বঙ্কিমবাবু হাত দিয়া মুখ চাপিয়া তাড়াতাড়ি সে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন। দরজার কােছ হইতে র্তাহার সেই দৌড়িয়া পালানোর দৃশ্যটা যেন আমি চােখে দেখিতে পাইতেছি। তাহার পরে অনেকবার ঠাঁহাকে দেখিতে ইচ্ছা হইয়াছে কিন্তু উপলক্ষ ঘটে নাই। অবশেষে একবার, যখন হাওড়ায় তিনি ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন তখন সেখানে তাহার বাসায় সাহস করিয়া দেখা করিতে গিয়াছিলাম। দেখা হইল, যথাসাধ্য আলাপ করিবারও চেষ্টা করিলাম, কিন্তু ফিরিয়া আসিবার সময় মনের মধ্যে যেন একটা লজা লইয়া ফিরিলাম। অর্থাৎ, আমি যে নিতান্তই অর্বািচীন, সেইটি অনুভব করিয়া ভাবিতে লাগিলাম, এমন করিয়া বিনা পরিচয়ে বিনা আহবানে তঁহার কাছে আসিয়া ভালো করি নাই। তাহার পরে বয়সে আরো কিছু বড়ো হইয়াছি; সে সময়কার লেখকদলের মধ্যে সকলের কনিষ্ঠ বলিয়া à fèt PKR (Aver-98) •ዃ S S ELtSLBBBBBuBSBDiB uuB BzBD BB SBB KLLLD LD BB LDDBBBL LBB SDSBDuS uDuB BDY DDBDuS uuSBuBD S S EDD BBB L • চন্দ্রনাথ বসু (১৮৪৪-১৯১০) সেই বৎসর সম্মিলনীয় সম্পাদক ছিলেন