পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক সেইখানেই শুকনো পাতা ছড়িয়ে পড়ে, প্ৰজাপতি উড়তে থাকে, জোনাকি বিকমিক করে রাতের বেলা । বনের আসরে এরা সব রেখা-বাহন হালকা চালের দল, কারো কাছে জবাবদিহি নেই। কথা আমাকে প্রশ্ৰয় দেয় না, তার কঠিন শাসন ; রেখা আমার যথেচ্ছাচারে হাসে, তর্জনী তোলে না । কাজকর্ম পড়ে থাকে, চিঠিপত্র হারিয়ে ফেলি, ফাক পেলেই ছুটে যাই রূপ ফলানোর অন্দরমহলে। এমনি করে, মনের মধ্যে অনেকদিনের যে-লক্ষ্মীছাড়া লুকিয়ে আছে। তার সাহস গেছে বেড়ে । সে আঁকছে, ভাবছে না। সংসারের ভালোমন্দ, . গ্ৰাহ্য করে না লোকমুখের নিন্দাপ্রশংসা । NR মনটা আছে আরামে । আমার ছবি আঁকা কলমের মুখে খ্যাতির লাগাম পড়েনি । নামটা আমার খুশির উপরে সর্দারি করতে আসেনি এখনো, ছবি আঁকার বুক জুড়ে আগেভাগে নিজের আসনটা বিছিয়ে বসে নি ; ঠেলা দিয়ে দিয়ে বলছে না “নাম রক্ষা কোরো । অথচ ওই নামটা নিজের মোটা শরীর নিয়ে স্বয়ং কোনো কাজই করে না । সব কীর্তির মুখ্য ভাগটা আদায় করবার জন্যে দেউড়িতে বসিয়ে রাখে। পেয়াদা ; হাজার মনিষের পিশু-পাকানো ফরমাশটাকে বেদী বানিয়ে ভূপকার করে রাখে কাজের ঠিক সামনে । এখনো সেইনামটা অবজ্ঞা করেই রয়েছে অনুপস্থিত আমার তুলি আছে মুক্ত যেমন মুক্ত আজি ঋতুরাজের লেখনী। o fryses eS