পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থপরিচয় Գ Օ (շ శాశి ফলস্বরূপ সেই বৎসরের (১২৮৫) ভারতীতে প্ৰকাশিত নিম্নলিখিত প্ৰবন্ধগুলি স্যাকসন জাতি ও অ্যাংলো স্যাকসন সাহিত্য- শ্রাবণ ১২৮৫ বিয়াত্রীচে, দান্তে ও তাহার কাব্য- ভাদ্র ১২৮৫ পিত্রার্কা ও লারা- আশ্বিন ১২৮৫ গেটে ও তাহার প্রণয়িনীগণ- কার্তিক ১২৮৫ নর্মান জাতি ও অ্যাংলো-নর্মান সাহিত্য- ফায়ুন ১২৮৫ ‘বাল্মীকিপ্রতিভা পরিচ্ছেদে ৪৮৩ পৃষ্ঠায় “বিদ্বজনসমাগম সাহিত্যসম্মিলনের যে উল্লেখ আছে তাহার সংক্ষিপ্ত পরিচয় এ স্থলে উদধূত হইল : “এই সময়ে জোড়াসাকো বাড়িতে জ্যোতিবাবুরা প্রতিবৎসর একটি "সম্মিলনী’ আহবান করিতেন । উদ্দেশ্য- সাহিত্যসেবীদের মধ্যে যাহাতে পরস্পর আলাপপরিচয় ও তাহদের মধ্যে সদভােব বর্ধিত হয় ।-- শ্ৰীযুক্ত আনন্দচন্দ্ৰ বেদান্তবাগীশ মহাশয় এই সম্মিলনের নামকরণ করিয়া দিয়াছিলেন- “বিদ্বজনসমাগম’ ! এই সমাগমে তখন বঙ্কিমচন্দ্ৰ, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, চন্দ্ৰনাথ বসু, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, কবি রাজকৃষ্ণ রায় প্রভৃতি লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যসেবীগণকে নিমন্ত্রণ করা হইত। এই উপলক্ষ্যে অনেক রচনা এবং কবিতাদিও পঠিত হইত, গীতবাদের আয়োজন থাকিত, নাট্যাভিনয় প্ৰদৰ্শিত হইত এবং সর্বশেষে সকলের একত্ৰ শ্ৰীতিভোজনে এই সাহিত্য-মহোৎসবের পরিসমাপ্তি হইত ।” -6७ाडिब्रिलनाgशद्ध ऊँीदनन्शूऊि, १ ९११-१b “ভারত-সংস্কারক সংবাদপত্রের ২৪ এপ্রিল ১৮৭৪ (১২ বৈশাখ ১২৮১ শুক্রবার) সংখ্যায় । সেই সভার প্রথম অধিবেশনের নিম্নরূপ বিবরণ পাওয়া যায় : ; “আমরা গত সপ্তাহে... যে একটি বিজ্ঞাপন দিয়াছিলাম, গত শনিবার রাত্রে [৬ বৈশাখ] তাহা কার্যে পরিণত দেখিয়া আনন্দিত হইয়াছি । বাবু দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সিবিলিয়ান বাবু সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আহবানে বাংলা গ্রন্থাকার ও সংবাদপত্রের সম্পাদকদিগের অনেকে তাহাদিগের জোড়াসাকের ভবনে সমবেত হন । অনানা প্ৰসিদ্ধ ব্যক্তির মধ্যে আমরা এই কয় ব্যক্তিকে দর্শন করিলাম।-- রোবরন্ড, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যো, বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্র, বাবু রাজনারায়ণ বসু, বাবু প্যারীচরণ সরকার, বাবু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যো । সর্বসুদ্ধ ন্যূনাধিক ১০০ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন । নিমন্ত্রয়িত মহাত্মারা ভদ্রোচিত অভ্যর্থনার ত্রুটি করেন নাই । সভাস্থলে একটি যুবা প্রথমে বাবু হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দীপনী কবিতমালা উচ্চ গভীর স্বরে ও উপযুক্ত ভাবভঙ্গীর সহিত অনর্গল আবৃত্তি করিলেন, তাহাতে আসর বেশ গরম হইয়া উঠিল । আমরা বহুদিনবিস্মৃত একটি জাতীয় ভােব অনুভব করিলাম, এবং ইংরাজধীনে বা স্বাধীন রাজ্যে বাস করিতেছি বোধগম্য করিতে পারিলাম না। পরে কবিরত্ন প্যারীমোহন] মৃত অনারেবল দ্বারকানাথ মিত্রের গুণ ব্যাখ্যাপূর্বক একটি সংগীত করিয়া শ্রোতৃবৰ্গকে বিমোহিত করিলেন । তিনি তৎপরে স্বকৃত আর-একটি শ্রুতিমধুর গান করিলেন, তাহাতে বিলাতি দ্রব্যের সহিত এ দেশীয় দ্রব্যের বিনিময়ে ভারতের সর্বনাশ হইল বলিয়া ইংলন্ডেশ্বরীর নিকট ক্ৰন্দন করা হইতেছে। অতঃপর ঠাকুর পরিবারের ছোটাে ছোটাে কয়েকটি বালকবালিকা চৌতাল প্রভৃতি তালে তানলয়বিশুদ্ধ সংগীত করিয়া সভাস্থ্যবৰ্গকে চমৎকৃত করিল -- পরে জ্যোতিরিন্দ্রবাবু এক অঙ্ক নাটক”ত পাঠ করিলেন, তাহাতে পুরুরাজা যবনশত্রু নিপাত করিবার জন্য সৈন্যদলকে ৩৩। পুরু-বিক্রম নাটক, তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম গর্ভাঙ্ক ।