শেষ সপ্তক আমি দেখব ওকে জানলায় বসে, ওই দূরপথের পথিককে, দীর্ঘকাল ধরে যে এসেছে । বহু দেহমানের নানা পথের বঁাকে বাকে মৃত্যুর নানা খেয়া পার হয়ে । উপরের তলায় বসে দেখব ওকে ওর নানা খেয়ালের আবেশে, আশা-নৈরাশ্যের ওঠা-পড়ায় সুখদুঃখের আলো-আঁধারে । দেখব। যেমন করে পুতুলনাচ দেখে ; হাসব মনে মনে । নিত্যকালের আলো আমি, সৃষ্টি-উৎসের আনন্দধারা আমি, অকিঞ্চন আমি, আমার কোনো কিছুই নেই অহংকারের প্রাচীরে ঘেরা । তেইশ। আজ শরতের আলোয় এই যে চেয়ে দেখি মনে হয়। এ যেন আমার প্রথম দেখা । আমি দেখলেম নবীনকে, প্ৰতিদিনের ক্লান্ত চোখ যার দর্শন হারিয়েছে । কল্পনা করছি।-- অনাগত যুগ থেকে তীর্থযাত্রী আমি ভেসে এসেছি মন্ত্রবলে । । উজান-স্বপ্নের স্রোতে পৌঁছলেম এই মুহুর্তেই বর্তমান শতাব্দীর ঘাটে । কেবলই তাকিয়ে আছি। উৎসুক চোখে । আপনাকে দেখছি আপনার বাইরে অন্যযুগের অজানা আমি অভ্যন্ত পরিচয়ের পরপারে । , তাই তাকে নিয়ে এত গভীর কৌতুহল। যার দিকে তাকাই চক্ষু তাকে আঁকড়িয়ে থাকে পুষ্পলগ্ন ভ্ৰমরের মতো । S
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikisource/bn/thumb/d/d6/%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29_-_%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%AD_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80.pdf/page77-1024px-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29_-_%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%AD_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80.pdf.jpg)