পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ পালের তরী কত-যে যায় বহি দখিনবায়ে, দূর প্রবাসের পথিক এসে বসে বকুলছায়ে । খেয়ার ঘাটে চলে, কেউ গো চেয়ে দেখে না। ওই ভাঙা ঘাটের বায়ে । আমি যারে ভালোবাসি সে ছিল এই গায়ে । আলমোড়া SÑs GKpsiq S \SoY o VG ওরে আমার কর্মহারা, ওরে আমার সৃষ্টিছাড়া, ওরে আমার মন রে, আমার মন । জানি নে তুই কিসের লাগি কোন জগতে আছিস জাগিকোন সেকালের বিলুপ্ত ভুবন । কোন পুরানো যুগের বাণী অর্থ যাহার নাহি জানি তোমার মুখে উঠছে আজি ফুটে । শুনে চক্ষে অশ্রুধারা ছুটে । আজি সকল আকাশ জুড়ে যাচ্ছে তোমার পাখা উড়ে, তোমার সাথে চলতে আমি নারি । তুমি যাদের চিনি ব’লে টানছ বুকে, নিচ্ছ কোলে, আমি তাদের চিনতে নাহি পারি । খুলে গেছে যুগান্তরের সেতু । মিথ্যা আজি কাজের কথা, আজ জেগেছে যে-সব ব্যথা এই জীবনে নাইকো তাহার হেতু । গভীর চিত্তে গোপন শালা সেথা ঘুমায় যে রাজবালা জানি নে সে কোন জনমের পাওয়া । দেখে নিলেম ক্ষণেক তারে, যেমনি আজি মনের দ্বারে যবনিকা উড়িয়ে দিল হাওয়া । ফুলের গন্ধ চুপে চুপে আজি সোনার কাঠি -রূপে ভাঙালো তার চিরযুগের ঘুম । কোন জনমের চন্দনকুকুম | আজকে হাদয় যাহা কহে মিথ্যা নহে, সত্য নহে, কেবল তাহা অরাপ অপরূপ । খুলে গেছে কেমন করে আজি অসম্ভবের ঘরে মৰ্চে-পড়া পুরানো কুলুপ ।