পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Abr\e রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রথম । তুমি যে আমাদের উৎসবের সূত্রধর। ঠাকুরদা। তাই তো আমি দ্বারে । দ্বিতীয়। আজ তুমি বুঝি এই কুম্ভ সুধন মুষল তোষল এদের নিয়েই আছ ? দেশ-বিদেশের কত রাজা এল, তাদের সঙ্গে পরিচয় করে নেবে না ? ঠাকুরদা। ভাই, এরা সব সরল লোক । চুপ করে কেবল এদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও এরা ভাবে, এদের যেন কত সেবা করলুম। আর যারা মস্ত লোক তাদের কাছেও মুণ্ডটাও যদি খসিয়ে দেওয়া যায়। তারা মনে করে, লোকটা বাজে জিনিস দিয়ে ঠকিয়ে গেল । ତସ୍ରା । ଏ ଧ୍ଵଜ D02] ୩୩ | ঠাকুরদা। না ভাই, আজ আমার এইখানেই দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে চলা । সকলের চলাচলেই আমার মন ছুটিছে। তবে আর কী ; এইবারে শুরু করা যাক । সকলের গান মোদের কিছু নাই রে নাই আমরা ঘরে বাইরে গাই তাইরে নাইরে নাইরে না । যতই দিবস যায় রে যায় গাই রে সুখে হায় রে হায় তাইরে নাইরে নাইরে না । পাকা ঘরের ভিত্তি গড়ে তাদের সামনে মোরা গান গেয়ে যাই তাইরে নাইরে নাইরে না । - যখন থেকে থেকে গাঠের পানে গাঠ-কাটার দৃষ্টি হানে তখন শূন্য বুলি দেখায়ে গাই তাইরে নাইরে নাইরে না । যখন দ্বারে আসে মরণ-বুড়ি মুখে তাহার বাজাই তুড়ি, তখন তান দিয়ে গান জুড়ি রে ভাই তাইরে নাইরে নাইরে না । এ যে বসন্তরাজ এসেছে আজি, বাইরে তাহার উজ্জ্বল সাজ, ওরে অন্তরে তার বৈরাগী গায় তাইরে নাইরে নাইরে না । স। যে উৎসবদিন চুকিয়ে দিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে, শুকিয়ে দিয়ে, R রিক্ত হাতে তাল দিয়ে গায়- ] তাইরে নাইরে নাইরে না ।