পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৩

88 |- ब्रदोक्-ब्रा5नादी ডিকেনসকে বলব, মাপ করো, মোহ থেকে আরোগ্যলাভের জন্যে তোমাকে গাল দিয়েছি।-- মোগল বাদশাদের কাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশের যত মুগ্ধ মিস্ত্রি মিলে যদি যেখানে-সেখানে ভারত জুড়ে কেবলই গম্বুজওয়ালা পাথরের বুদবুদ বানিয়ে চলত তা হলে ভদ্রলোক মাত্রই যেদিন বিশ বছর বয়স পেরোত সেইদিনই বানপ্রস্থ নিতে দেরি করত না। তাজমহলকে ভালো-লাগাবার জন্যেই তাজমহলের নেশা ছুটিয়ে দেওয়া দরকার ।” 辱 (এইখানে বলে রাখা দরকার, কথার তোড় সামলাতে না পেরে সভার রিপোর্টারের মাথা ঘুরে গিয়েছিল, সে যা রিপোর্ট লিখেছিল সেটা অমিতার বক্তৃতার চেয়েও অবোধ্য হয়ে উঠেছিল। তারই থেকে যে-কটা টুকরো উদ্ধার করতে পারলুম। তাই আমরা উপরে সাজিয়ে দিয়েছি।) তাজমহলের পুনরাবৃত্তির প্রসঙ্গে রবি ঠাকুরের ভক্ত আরক্তমুখে বলে উঠল, “ভালো জিনিস যত বেশি হয় ততই ভালো ।” অমিত বললে, “ঠিক তার উলটো । বিধাতার রাজ্যে ভালো জিনিস অল্প হয় বলেই তা ভালো, নইলে সে নিজেরই ভিড়ের ঠেলায় হয়ে যেত মাঝারি।-- যে-সব কবি ষাট-সত্তর পর্যন্ত বঁাচতে একটুও লজ্জা করে না তারা নিজেকে শাস্তি দেয় নিজেকে সস্তা করে দিয়ে। শেষকালটায় অনুকরণের দল চারি দিকে ব্যুহ বেঁধে তাদেরকে মুখ ভ্যাংচাতে থাকে। তাদের লেখার চরিত্র বিগড়ে যায়, পূর্বের লেখা থেকে চুরি শুরু করে হয়ে পড়ে পূর্বের লেখার রিসীভর্স অফ স্টোেলন প্ৰপাটি। সে স্থলে লোকহিতের খাতিরে পাঠকদের কর্তব্য হচ্ছে কিছুতেই এই-সব অতিপ্ৰবীণ কবিদের বঁাচতে না দেওয়া- শারীরিক বঁাচার কথা বলছি নে, কাব্যিক বঁাচা । এদের পরমায়ু নিয়ে বেঁচে থাক প্রবীণ অধ্যাপক, প্ৰবীণ পোলিটিশন, প্ৰবীণ সমালোচক ৷” 乳 সেদিনকার বক্তা বলে উঠল, “জানতে পারি কি, কাকে আপনি প্রেসিডেন্ট করতে চান ? তার নাম दकदpन्म ।" অমিত ফস করে বললে, “নিবারণ চক্রবর্তী।” সভার নানা চৌকি থেকে বিস্মিত রব উঠল—“নিবারণ চক্রবর্তী ? সে লোকটা কে ৷” মািল্লকের দিনে এই যে প্রশ্নের অদূর মাত্র আগামী দিনে এর থেকে উত্তরের বনস্পতি জেগে৷ "ן “ইতিমধ্যে আমরা একটা নমুনা চাই।” “তবে শুনুন ।” বলে পকেট থেকে একটা সরু লম্বা ক্যাম্বিসে-বাধা খাতা বের করে তার থেকে পড়ে গেল- 1. আনিলাম অপরিচিতের নাম ধরণীতে, পরিচিত জনতার সরণীতে । ' . আমি আগন্তুক, আমি জনগণেশের প্রচণ্ড কৌতুক । , খোলো দ্বার, বার্তা আনিয়াছি বিধাতার । মহাকালেশ্বর বল দুঃসাহসী কে মৃত্যু পণ রেখে त्रिवि उान मूनश् ७खन।