yo e রবীন্দ্র-রচনাবলী শুনে আমি বলি, মাটির বঁাশিখানি তোমার বটে, কিন্তু বাণী তো তোমার নয় । উপেক্ষ করে সে হাসে । শোনো আমার ক্ৰন্দন, হে বিশ্ববাণী, জয়ী হবে কি জড়মাটির অহংকার— সেই অন্ধ সেই মূক তোমার বাণীর উপর কি চাপা দেবে চিরমূকত্ব, যে বাণী অমৃতের বাহন তার বুকের উপর স্থাপন করবে জড়ের জয়স্তম্ভ ? শোনা গেল আকাশ থেকে : ভয় নেই। বায়ুসমূদ্রে ঘুরে ঘুরে চলে অশ্রুতবাণীর চক্রলহরী, কিছুই হারায় না । የo আশীৰ্বাদ এই আমার, সার্থক হবে মনের সাধন ; জীর্ণকণ্ঠ মিশবে মাটিতে, চিরজীবী কণ্ঠস্বর বহন করবে বাণী । মাটির দানব মাটির রথে যাকে হরণ করে চলেছিল মনের রথ সেই নিরুদ্দেশ বাণীকে আনলে ফিরিয়ে কণ্ঠহীন গানে । জয়ধ্বনি উঠল মর্তলোকে । দেহমুক্ত রূপের সঙ্গে যুগলমিলন হল দেহমুক্ত বাণীর প্রাণতরঙ্গিণীর তীরে, দেহনিকেতনের প্রাঙ্গণে । [ ১৩৩৯ ] শুচি রামানন্দ পেলেন গুরুর পদ– সারাদিন তার কাটে জপে তপে, সন্ধ্যাবেলায় ঠাকুরকে ভোজ্য করেন নিবেদন, তার পরে ভাঙে তার উপবাস যখন অস্তরে পান ঠাকুরের প্রসাদ ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikisource/bn/thumb/4/48/%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%B6_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29_-_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80.pdf/page110-1024px-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%B6_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29_-_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80.pdf.jpg)