\రిe. রবীন্দ্র-রচনাবলী সবাই চীৎকার করে, গর্জন করে, শেষে যখন খাপ থেকে ছুরি বেরোতে চায় এমন সময় অন্ধকার ক্ষীণ হল— প্রভাতের আলো গিরিশৃঙ্গ ছাপিয়ে আকাশ ভরে দিলে । হঠাৎ সকলে স্তন্ধ ; সূর্যরশ্মির তর্জনী এসে স্পর্শ করল রক্তাক্ত মৃত মানুষের শাস্ত ললাট । মেয়ের ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠল, পুরুষের মুখ ঢাকল দুই হাতে। কেউ বা অলক্ষিতে পালিয়ে যেতে চায়, পারে না ; অপরাধের শৃঙ্খলে আপন বলির কাছে তার বাধা । পরস্পরকে তারা শুধায়, কে আমাদের পথ দেখাবে। পূৰ্বদেশের বৃদ্ধ বললে, আমরা যাকে মেরেছি সেই দেখাবে। সবাই নিরুত্তর ও নতশির । বৃদ্ধ আবার বললে, সংশয়ে তাকে আমরা অস্বীকার করেছি, ক্রোধে তাকে আমরা হনন করেছি, প্রেমে এখন আমরা তাকে গ্রহণ করব, কেনন, মৃত্যুর দ্বারা সে আমাদের সকলের জীবনের মধ্যে সঞ্জীবিত, সেই মহামৃত্যুঞ্জয়। so সকলে দাড়িয়ে উঠল, কণ্ঠ মিলিয়ে গান করলে, জয় মৃত্যুঞ্জয়ের জয় । سيt তরুণের দল ডাক দিল, চলে যাত্রা করি প্রেমের তীর্থে, শক্তির তীর্থে ; হাজার কণ্ঠের ধ্বনিনিঝরে ঘোষিত হল— আমরা ইহলোক জয় করব এবং লোকাস্তর। উদেশ্ব সকলের কাছে স্পষ্ট নয়, কেবল আগ্রহে সকলে এক ; মৃত্যুবিপদকে তুচ্ছ করেছে সকলের সম্মিলিত সঞ্চলমান ইচ্ছার বেগ । তারা আর পথ শুধায় না, তাদের মনে নেই সংশয়, চরণে নেই ক্লাস্তি । মুত অধিনেতার আত্মা তাদের অন্তরে বাহিরে—
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikisource/bn/thumb/4/48/%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%B6_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29_-_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80.pdf/page140-1024px-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%B6_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29_-_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80.pdf.jpg)