পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলগুলিকে সরকারি পাহারার প্রচণ্ড দৃষ্টির উপর সর্বদাই থাকিতে হইবে। বিন্দুমাত্রও পদস্থলন হইলে নিস্তার থাকিবে না। কলের কার্য ও সমস্ত কাগজপত্র যাদৃচ্ছিা সরকারি পরীক্ষা ও পরিদর্শনের অধীন হইবে, হিসাবের একটুকুও এদিক-ওদিক হইলে দ্রব্যের দেয় মাণ্ডলের তিনগুণ মাশুল আদায় হইবে। সরকারি তফিখাতে কোনো রকমের তঞ্চকতা-প্রবঞ্চনাদি প্রমাণ হইলে হাজারো টাকা জরিমানা হইবে; পেনালকোড আমলে আসিবে; কালওয়ালাদিগের কারাবাসও হইতে পরিবে। কলের কাপড় সূতার স্বদেশীয় শিল্প তাহার এই শৈশবাবস্থায় আইনের এত অগ্নিপরীক্ষা পার হইয়া উঠিতে পরিবে কি না সন্দেহ। সুতরাং কলের স্বত্বাধিকারীরা স্বভাবতই মহা উৎকণ্ঠিত ও আতঙ্কিত হইয়াছেন। আইনে আপত্তি করিতেছেন। কিন্তু এখন আপত্তি করা - অনর্থক। ভাবিতে উচিত ছিল প্ৰতিজ্ঞা যখন।’ আক্ষেপ এই যে, স্বদেশহিতৈষীরা তঁহাদিগকে ভাবিবার অবসর দেন নাই। আবদার করিয়াই এই উৎকট আইন করাইয়াছেন। আইনের উদ্দেশ্যে স্পষ্টই লিখিত আছে The finer classes of cotton manufactured in India enter into direct competition with the cotton manufactures imported from England. As it is intended to weight these last with an import duty, it is considered necessary to levy at the same time a contervailing duty upon the competitive classes of Indian manufactures. অতএব আপত্তি করা এখন বৃথা। এই আইন হওয়ার অঙ্গীকারেই আমদানি-কর বসিয়াছে। আমদানি-কর না উঠিয়া গেলে, এ আইন রদেরও সম্ভাবনা নাই! আমরা এ উভয়কেই সমান আপদজনক বিবেচনা করি। বেঙ্গল কাউন্সিলে ড্রেনেজ কর প্রস্তুত হইয়াছে; অবিলম্বেই আবির্ভূত হইয়া জমিদার ও রায়তের কর-ভারপীড়িত স্কন্ধ পুনঃ প্ৰপীড়িত করিবে। তাহার পূর্বেই কাপড়ের করা উপস্থিত। দেশে অন্নবস্ত্রের একেই তো এই সচ্ছলতা তাহার উপর আইন-কানুনের এমন সব মেওয়া ফল, পরম রমণীয়াই বটে! তবে আমাদের শত্রুশিবির হইতে বরং কিঞ্চিৎ মঙ্গল আগমনের আশা করা যাইতে পারে। আমদানি মাশুলে মাঞ্চিস্টারের মহাজন ও শক্তিশালী শ্রমজীবীগণ আপত্তি উপস্থিত করিয়াছেন। এ আপত্তি উগ্রভাব ধারণ করিলে, তাহা উল্লঙ্ঘন করা বড়ো সহজসাধ্য হইবে না; একটা সুযোগ খুঁজিয়া আমদানি-কর উঠাইতেই হইবে। যদি আন্দীে কোনো আশা থাকে, ইহাই এখন আশা। मांक्षनों NS y Obo)