পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कदिडा “মুছ। অশ্রুজােল সখি, বহু দিন পরে এসেছে বিদেশ হতে ললিত তোমার’। অমনি দামিনী বুঝি আহ্বাদে উথলি নীরব অশ্রুর জলে কবে কত কথা । ফিরিয়া আসিনু যাবে-এ কী হল জ্বালা ! কিছুতে নয়নজল নারি সামালিতে। ফেরো ফেরো চাহিয়ে না, এ আঁখির পানে, প্ৰাণে বাজে, অশ্রািজল দেখাতে তোমায় ! জেনো গো রামণি, জেনো, এত দিন পরে কাদিয়া প্ৰণয় ভিক্ষা করিতে আসি নি, এ অশ্রু দুঃখের অশ্রু- এ নহে ভিক্ষার! কখনো কখনো সখি অন্য মনে যাবে। সুবিজন বাতায়নে রয়েছ বসিয়া সম্মুখে যেতেছে দেখা বিজন প্ৰান্তর হেথা হােথা দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন কুটির হু হু করি বহিতেছে। যমুনার বায়ুতখন কি সে-দিনের দুয়েকটি কথা সহসা মনের মধ্যে উঠে না জাগিয়া ? কখন যে জাগি উঠে পার না জানিতে! দূরতম রাখালের বাঁশিস্বর সম কীভূ কাভু দুয়েকটি ভাঙা-ভাঙা সুর অতি মৃদু পশিতেছে শ্রবণবিবরে; আধো জেগে আধো ঘুমে স্বপ্ন আধো-ভোলাতেমনি কি সে-দিনের দুয়েকটি কথা সহসা মনের মধ্যে উঠে না জাগিয়া ? সহসা মুহুর্ত-পরে লভিয়া চেতন কী কথা ভাবিতেছিনু নাহি পড়ে মনে । অথচ মনের মধ্যে বিষগ্র কী ভাব কেমন আধার করি রহে যেন চাপি, হািদয়ের সেই ভাবে কখনো কি সখি সে-দিনের কোনো ছায়া পড়ে না। স্মরণে ? স্মরিলে যেমন লাগে হৃদয়ে আঘাত, তেমনি কি সখি কীভূ মনে নাহি হয়। সে-সকল দিন কেন গেলে গো চলিয়া S.