পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str ब्ररौटश-ब्रछनांवलौ মুসলমানীর গল্প খসড়া তখন অরাজকতার চরগুলো কণ্টকিত করে রেখেছিল রাষ্ট্রশাসন, অপ্রত্যাশিত अङाक्लोत्त्वप्न अडिशोरङ ८बोजब्रिउ श्ड नि ब्राबि । झुःषप्ध्रव्र खोज छरिब्रश्जि জীবনযাত্রার সমস্ত ক্রিয়াকর্মে, গৃহস্থ কেবলই দেবতার মুখ তাকিয়ে থাকত, অপদেবতার কাল্পনিক আশঙ্কায় মানুষের মন থাকত আতঙ্কিত। মানুষ হোক আর দেবতাই হোক কাউকে বিশ্বাস করা কঠিন ছিল, কেবলই চোখের জলের দোহাই পাড়তে হত। শুভ কর্ম এবং অশুভ কর্মের পরিণামের সীমারেখা ছিল ক্ষীণ। চলতে চলতে পদে পদে মানুষ হোচট খেয়ে খেয়ে পড়ত দুৰ্গতির মধ্যে । এমন অবস্থায় বাড়িতে রূপসী কন্যার অভ্যাগম ছিল যেন ভাগ্যবিধাতার অভিসম্পাত। এমন মেয়ে ঘরে এলে পরিজনরা সবাই বলত ‘পোড়ারমূখী বিদায় হলেই বাচি’। সেইরকমেরই একটা আপদ এসে জুটেছিল তিন-মহলার তালুকদার বংশীবদনের ঘরে । কমলা ছিল স্বন্দরী, তার বাপ মা গিয়েছিল মারা, সেইসঙ্গে সেও বিদায় নিলেই পরিবার নিশ্চিস্ত হত । কিন্তু তা হল না, তার কাকা বংশী অত্যন্ত স্নেহে অত্যন্ত সতর্কভাবে এতকাল তাকে পালন করে এসেছে । • তার কাকি কিন্তু প্রতিবেশিনীদের কাছে প্রায়ই বলত, “দেখ, তো ভাই, মা বাপ ওকে রেখে গেল কেবল আমাদের মাথায় সর্বনাশ চাপিয়ে। কোন সময় কী হয় বলা যায় না। আমার এই ছেলেপিলের ঘর, তারই মাঝখানে ও ৰেন সর্বনাশের মশাল জালিয়ে রেখেছে, চারি দিক থেকে কেবল ছুটলোকের দৃষ্টি এসে পড়ে। ঐ একলা ওকে নিয়ে আমার ভরাডুবি হবে কোনদিন, সেই ভয়ে আমার ঘুম হয় না।” এতদিন চলে যাচ্ছিল একরকম করে, এখন আবার বিয়ের সম্বন্ধ এল। সেই ধুমধামের মধ্যে আর তো ওকে লুকিয়ে রাখা চলবে না। ওর কাঙ্ক বলত, “লেইজন্যই আমি এমন ঘরে পাত্র সন্ধান করছি যারা মেয়েকে রক্ষা করতে পায়ৰে ।” ছেলেটি মোচাখালির পরমানন্দ শেঠের মেজো ছেলে। অনেক টাকার তৰিল চেপে বলে আছে, বাপ ম'লেই তার চিহ্ন পাওয়া বাবে না। ছেলেটি ছিল বেজায় শৌখিন— বাজপাখি উড়িয়ে, জুয়ো খেলে, বুলবুলের লড়াই দিয়ে খুৰ বুক ঠুকেই