পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা । তোমারে প্রণমি আমি, হে ভীষণ, স্বস্নিগ্ধ শু্যামল, অক্লান্ত অম্লান’ । সন্তোজাত মহাবীর, কী এনেছ করিয়া বহন কিছু নাহি জান । উড়েছে তোমার ধ্বজ মেঘরন প্রচু্যত তপনের জলদচিরেথা— করজোড়ে চেয়ে আছি উর্ধ্বমুখে, পড়িতে জানি ন৷ কী তাহাতে লেখা । হে কুমার, হাস্যমুখে তোমার ধতুকে দাও টান বানন রনন, - বক্ষের পঞ্জর ভেদি অস্তরেতে হউক কম্পিত সুতীব্র স্বনন । হে কিশোর, তুলে লও তোমার উদার জয়ভেরী, করহ আহবান । আমরা দাড়াব উঠি, আমরা ছুটিয়া বাহিরিব, অৰ্পিব পরান । চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব না বন্ধন ক্ৰন্দন, হেরিব না দিক— গনিব না দিন ক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার উদাম পথিক । মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্তত উপকণ্ঠ ভরি— খিন্ন শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কারলাঞ্ছনা উৎসর্জন করি । শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি, শরমের ডালি, * * নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্রশিখা স্তিমিত দীপের ধূমাঙ্কিত কালী, tూళి