পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाथबौकथ्कण করন। “তিনি” বায়ের ওজর করিবেন, তাহা শুনিবেন না, আপনাদিগের অনুরোধ অলঙ্ঘনীয়, আপনাদিগের আশ্রজেলে সকল আপত্তি ভাসিয়া যাইবে! প্রসিদ্ধ ময়র-সিংহাসনে অদ্য সমাট আরংজীব উপবেশন করিয়াছেন। প্রাসাদের শ্বেত স্তম্ভসারি বড় শোভা পাইতেছে। রক্তবর্ণ চন্দ্ৰাতপ হইতে পাপমাল্যের সহিত মণি-মাণিক্য ঝলিতেছে ও প্রাতঃকালের আলোকপশে অপবে শোভা ধারণ করিয়াছে। চারিদিকে মহারাজা, রাজা, ওমরাহ, মনসবদার প্রভৃতি ভারতের অগ্রগণ্য বীর, ধনী ও মান্য লোকে অদ্য রাজপ্রাসাদকে ইন্দ্রপরী করিয়াছে ! সেই প্রাসাদের সম্মখে বিস্তৃত শিবির সন্নিবেশিত হইয়াছে, শিবিরের চতুদিকে রৌপ্যনিমিত স্তম্ভ ঝকমক করিতেছে। উপরের বস্ত্র উত্তজবল রক্তবর্ণ, ভিতরে মসলীপত্তনের ছিট, সে ছিটে লতা পাপ এরপে সন্দর চিত্রিত হইয়াছে যে শিবিরের পাশ্বে যথার্থ পাপ ফটিয়াছে, দশকদিগের এরপে ভ্রম হয়! ভূমিতে অপরপ গালিচা, তাহাতেও পাপগুলি এরুপ সন্দেরuB BB BuB Bu u u u u সঙে্কাচ করেন! তাহার বাহিরে দাগের প্রাচীর পয্যন্ত জয়পতাকা ও পাপপত্র দ্বারা দাগ সশোভিত হইয়াছে। সেনাগণ শ্রেণীবদ্ধ হইয়া বিজয়বাদ্যে সকলের মন উত্তেজিত করিতেছে, নবজাত সন্য রশিমতে তাহাদের বন্দকে ঝকমক করিতেছে। দগপ্রাচীরের উপর ইংরাজ, ফরাশি ও ওলন্দাজ সৈনিকগণ ঘন ঘন কামান ছাড়িতেছে। তাহারা বহন্দরে হইতে রত্নগভর্ণ ভারতবষে* রত্ন কুড়াইবার জন্য আসিয়াছে, ও সম্রাটের বেতনভোগী হইয়া অদ্য কামানের শব্দে সম্রাটের বিজয় প্রচার করিতেছে। দুগের বাহিরে নগরের পথে, ঘাটে, গাহে, দ্বারে ও যমুনাতীরে রাশি রাশি লোক নিজ নিজ সমপরিচ্ছদে সজিত ও দলবদ্ধ হইয়া প্রশস্ত আগ্রানগর ও যমুনাতীর পরিপণ করিতেছে। পরাতন রীতানুসারে আরংজীব সবের্ণের সহিত ওজন হইলেন, তাহার পর প্রধান প্রধান ওমরাহগণ ঐরাপে ওজন হইলেন, প্রত্যেক ওমরাহ, রাজা ও মনসবদার সবণ, মুক্তা ও হীরক নজর দিয়া সম্রাটের মনস্তুটি করিলেন। তাহার পর জগদ্বিমোহিনী কাঞ্চনীগণ প্রৌঢ়-যৌবন মদে উন্মত্ত হইয়া অপব্ব সঙ্গীত ও নত্য দ্বারা সভাসদগণের হৃদয় বিমোহিত করিল। কাঞ্চনীগণ নক্তকী, বড় বড় ওমরাহদিগের মধ্যে বিবাহাদি কাৰ্য্য হইলে তাহারা সঙ্গীত ও নত্য করিতে যাইত। শাজিহান তাহাদিগকে সব্বদাই নিকটে রাখিতে ভালবাসিতেন ও বেগমদিগের আলয়েও লইয়া যাইতেন । কিন্তু ইন্দ্রিয়সুখ পরামখে আরংজীব তাহাদিগকে প্রায় নিকটে আসিতে দিতেন না, তবে আজি আনন্দের দিনে কশ্চনীগণ কেন না সমাদত হইবে ? তাহার পর দাগের পর্বেদিকে অর্থাৎ যমনাতীরে মল্লযুদ্ধ, অসিযুদ্ধ প্রভৃতি নানারপে যুদ্ধ হইতে লাগিল; প্রাসাদের উপর হইতে বেগমগণ দেখিতে পাইবেন এই জন্য এই স্থলে যুদ্ধ হইত। অবশেষে দুইটী মত্ত হস্তীর যুদ্ধ আরম্ভ হইল। মধ্যে আন্দাজ দই হাত উচ্চ একটী মাত্তিকার প্রাচীর, তাহার দই দিক হইতে দুইটী মত্ত হস্তী মাহত দ্বারা পরিচালিত হইয়া রণে লিপ্ত হইল। অনেকক্ষণ যমনার উভয় পাশ্ব হইতে লোকে সবিসময়ে এই ভীষণ যুদ্ধ দেখিতে লাগিল, শাণ্ডের চপেটাঘাতে ও দস্তজনিত আঘাতে হস্তিদ্বয়ের মস্তক ও শরীর ক্ষতবিক্ষত হইয়া যাইল। প্রত্যেক হস্তীর দুইজন করিয়া মাহত ছিল; একটী হস্তীর একজন মাহত পড়িয়া গেল ও সহসা হস্তী স্বারা পদদলিত হইয়া জীবন ত্যাগ করিল, অপর পক্ষের একজন মাহতের ঐরপে জন্মের মত হাত ভাঙ্গিয়া গেল। হতভাগারা এই জীবনের আশা নিকট পাবে বিদায় লইয়াই আসিয়াছিল। অনেকক্ষণ যুদ্ধের পর একটী হস্তী অন্যকে পরাস্ত করিয়া, মাত্তিকা-প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিয়া, পশ্চাৎ ধাবমান হইল। তাহাদিগকে ছাড়াইবার জন্য অনেকে চরকী প্রভৃতি আগমনের বাজী ছড়িল, কিন্তু সঞ্জাত-ক্রোধ হস্তী তাহাতে নিরস্ত না হইয়া অপর হস্তীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। অবশেষে পরাজিত হস্তী সস্তরণ করিয়া যমুনা পার হইয়া গেল, পথিমধ্যে দুই একজন লোক যাহারা সম্মুখে পড়িল তাহারাও নিহত হইল। এ সমস্ত আমোদ দেখিয়া নরেন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে যমুনাপলিনে যাইলেন ও হস্ত মাখ లలి