পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৎপরে শিবজী অন্তঃপরে প্রবেশ করিলেন। দুঃখিনী জাঁজী, একাকিনী-একটা ঘুরে BBBBB u DDB BuBS BB DDB BBB BBB BuBS u সময়ে শিবজী আসিয়া বলিলেন,-মাতঃ ! আশীব্বাঙ্গ করন, বিদায় হুই। . : . . .” জীজী স্নেহপণাস্তবরে বলিলেন,~~বৎস! আইস, একবার তোমাকে আলিঙ্গন করি। কবে তোমার এ বিপদরাশি শেষ হইবে, কবে এ দুখিনীর শোক ও চিন্তা শেষ হইৰে ?... . . . . শিবজী। মাতঃ! আপনার আশীব্বাদে কবে কোন বিপদ হইতে উদ্ধার না হইয়াছি : কোন যুদ্ধে জয়ী না হইয়াছি ? * , , জীজী। বৎস! দীঘ"জীবী হও, ঈশানী তোমাকে রক্ষা করন। এই বলিয়া মাতা সস্নেহে শিবজীর মস্তকে হাত দিলেন, দই নয়ন বহিয়া আশ্রজেল শীর্ণ বক্ষঃস্থলের উপর পড়িতে লাগিল। শিবজী সকলের নিকট বিদায় লইয়াছেন ; এতক্ষণ তাঁহার দটি স্থির ও স্বর আকম্পিত ছিল। এক্ষণ আর সম্বরণ করিতে পারলেন না, চক্ষদ্বীয় ছল ছল করিতে লাগিল। উদ্বেগকম্পিত্যবরে শিবজী বলিলেন,—স্নেহময়ী জননি! আপনিই আমার ঈশানী, আপনাকে যেন ভক্তিভাবে চিরজীবন পাজা করি, আপনার আশীব্বাদে সকল বিপদ তুচ্ছ জ্ঞান করিব। বাদ্ধা জাঁজী বহন আশ্র্যপাত করিয়া বিদায়কালে বলিলেন,—বৎস! হিন্দুধর্মের জয়সাধন কর, স্বয়ং দেবরাজ শম্ভু তোমার সাহায্য করিবেন। আমার পিতৃকলে দেবগড়ের অধিপতি ছিলেন, হিন্দুধর্মের অবলম্বন ছিলেন। বাছা, আমি আশীব্বাদ করিতেছি তুমিও মহারাষ্ট্র ” দেশে রাজা হও, দক্ষিণাত্যে হিন্দধমের অবলম্বন হও । সমস্ত সেনা সডিজত। শিবজী নিঃশব্দে অশ্বারোহণ করিলেন, নিঃশব্দে সৈন্যগণ দাগাস্বার অতিক্রম করিল। দগান্ধার অতিক্রম করিবার সময়ে একজন অতি অলপবয়স্ক যোদ্ধা শিবজীর সমখে আসিয়া শির নামাইল; শিবজী তাহাকে চিনিলেন, বিজ্ঞাসা করিলেন,-কি রঘুনাথজী হাবিলদার ! এ সময়ে তোমার কি প্রার্থনা ? রঘুনাথ। প্রভু, যেদিন তোরণদাগ হইতে পত্রাদি আনিয়াছিলাম সেদিন প্রসন্ন হইয়া পুরস্কার অঙ্গীকার করিয়াছিলেন। শিবজী। আদ্য এই উৎকট ব্যাপারের প্রারম্ভে কি পুরস্কার চাহিতে আসিয়াছ ? রঘুনাথ। এই পুরস্কার চাই যে, ঐ উৎকট ব্যাপারে আমাকে যাইতে দিন। ষে পঞ্চবিংশ মাউলী যোদ্ধার সহিত পনোনগরে প্রবেশ করিবেন, দাসকে তাহাদের সহিত যাইতে আদেশ করন । πü শিবজী। রাজপতবালক ! কেন ইচ্ছাপবেক এ সঙ্কটে আসিতেছ? অলপ বয়সে কেন প্রাণ হারাইতে উৎসকে হইয়াছ ? I রঘুনাথ । রাজন! আপনার সঙ্গে যাইলে প্রাণ হারাইব এরপে আশঙ্কা করি লা। যদি হারাই, আমার জন্য আক্ষেপ করিবে জগতে এরুপ কেহই নাই। আর যদি প্রভুকে কায্যের দ্বার সন্তুষ্ট করিতে পারি, জীবিত থাকিয়া প্রত্যাগমন করিতে পারি, তবে,-তবে ভবিষ্যতে আমার মঙ্গল । রঘুনাথের সেই কৃষ্ণ কেশগুচ্ছগুলি ভ্রমরবিনিন্দিত নয়নের উপর পড়িয়াছে, বালকের সরল উদার মুখমণ্ডলে যোদ্ধার স্থিরপ্রতিজ্ঞা বিরাজ করিতেছে। অল্পবয়স্ক যোদ্ধার এই কথা শুনিয়া ও উদার মুখমণ্ডল দেখিয়া শিবজী সস্তুস্ট হইলেন, ও সঙ্গে পনার ভিতর য়াইতে অনুমতি দিলেন। রঘুনাথ আবার শির নত করিয়া পরে লম্ফ দিয়া অশ্বে আরোহণ করিলেন। সিংহগড় হইতে পনা পৰ্য্যন্ত সমস্ত পথে শিবজী নিজ সৈন্য রাখিলেন। সন্ধ্যার ছায়ায় নিঃশব্দে সেই পথের স্থানে স্থানে সেনা সন্নিবেশ করিতে লাগিলেন। একটী দীপ জ্যালিলে বা সৈন্যেরা শব্দ করিলে পনোয় তাঁহার এই কায্য প্রকাশ হইতে পারে, সুতরাং নিঃশব্দে অন্ধকারে সৈন্য সন্নিবেশ করিতে লাগিলেন। সে কাৰ্য্য শেষ হইল, রজনী জগতে গাঢ় অন্ধকার বিস্তার করিল। শিবজী, তন্নজী ও যশজী ২৫ জন মাত্র মাউলী লইয়া পনার নিকটে একটী বহৎ বাগানে পেপছিয়া তথায় লক্কোয়িত রহিলেন। রঘুনাথ ছায়ার মত প্রভুর পশ্চাৎ পশ্চাৎ রহিsলন। * . আরও গাঢ়তর অন্ধকার সেই আমুকাননকে আবত করিল, সন্ধ্যার শীতল বায় আসিয়া

  • &