পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

속 বালিকার চরিত্র সম্বন্ধে যারপরনাই অধমসচেক প্রবাদ প্রকটিত করিতেছেন অধমাচরণ গোপন করিয়া রাখিলেই সমাজের মতে ধৰ্ম্মম রক্ষা হয়। , এক্ষণে সেই छटब्राविश्न नन्त्रिटव्हन * थाब्र ८ब उठाब्र श्रट्न श्राटछ সাধার বিবাহের কথা লইয়া পাড়াপড়শীর ঘমে নাই, চল একবার সেই সন্ধাকে দেখিয়া ಕ್ಲ ক্ষুদ্র গহের অভ্যস্তরে সেই সরলা বালিকা কি করিতেছিল, চল, একবার তাহা দেখিয়া | সাধার নিকট এ কথা গোপন রাখিবার সমস্ত যত্ন ব্যথা হইল। যে কথা লইয়া পাড়ায় এত আন্দোলন, মেয়েমহলে এত আন্দোলন, সে কথা গোপন থাকে না। যে বাড়ীতে ঝি আছে, সে সংবাদপত্রেরও অনাবশ্যক ! তবে ঝি বিন্দরে নিষেধবাক্যের এইটুকু মান রাখিল ষে সন্ধাকে সব কথা ভাঙ্গিয়া বলিল না, সন্ধার চরিত্র সম্বন্ধে যে কলঙ্ক উঠিয়াছিল, সেটকু বলিল না। তবে শরৎবাব যে সন্ধাকে বিবাহ করিবার জন্য পাগল হইয়াছেন, মাতা ঠাকুরাণীর নিকট সেই বিবাহের জন্য জেদ করিতেছেন, পাড়ায় পাড়ায় এই কথা রাষ্ট্ৰ হইয়াছে, তাহা সন্ধাকে গোপনে অবগত করাইল । বালিকা একবারে শিহরিয়া লজায় অভিভূত হইল, যাতনায় অস্থির হইল। উঃ, এ কি সব্বনাশের কথা, কি অধমের কথা, এ কথা কেন উঠিল, সন্ধা লোকের কাছে কেমন করিয়া আর এ মুখ দেখাইবে ? কালীদিদির কাছে, শরতের মাতার কাছে, দেবীবাবর বাড়ীতে, চন্দ্রবাবর বাড়ীতে, কেমন করিয়া মুখ দেখাইবে, হতভাগিনী আবার তালপুকুরে কোন মুখে ফিরিয়া যাইবে ? ছিঃ! ছি:! শরৎবাব এমন কাজ কেন করিলেন, বিধবার নাম কেন লজ্জায় ডুবাইলেন, এ কলঙ্ক কি আর কখনও যাবে ? ঐ পথে মেয়েমানুষেরা কি বলিতে বলিতে যাইতেছে ? তাহারা বুঝি সাধার কলঙ্কের কথা কহিতেছে! ঐ হেমবাব দিদির সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন? লজ্জায়, বিষাদে, মনের যাতনায়, বালিকা অধীর হইল, মুখ ফুটিয়া সে কথা কাহাকেও কহিতে পারে না, বালিশে মুখ লুকাইয়া সমস্ত দই প্রহর বেলা একাকিনী কাঁদিল, সন্ধ্যার সময় না খাইয়া শইতে গেল। উঃ, শরৎবাবা কেন এমন কাজ করিলেন, দরিদ্র বিধবার কেন কলঙ্ক রটাইলেন ? কিন্তু অন্ধকারে স্থাপিত লতা যেরপে সহস্র বাধা অতিক্রম করিয়া একটী সয্যেরশ্মির দিকে ধায়, অভাগিনী সন্ধার শতক অন্তঃকরণ সেইরুপ এই যাতনায় ও লজ্জায় জীবনের একটী আশারশিমর দিকে ধাবিত হইল। বিষাদে অন্ধকারের মধ্যে যেন একটী কিরণচ্ছটা দেখিতে পাইল, অকল সমুদ্রের মধ্যে যেন ধ্রুব নক্ষত্রের হীন জ্যোতি তাহার নয়নে পতিত হইল। শরৎবাব কেন এমন কাজ করিলেন ? বোধ হয় শরৎবাব না আসিলে সন্ধা যেমন পথ চাহিয়া থাকে, সন্ধ্যার সময় একাকিনী বসিয়া শরৎবাবর কথা ভাবে, শরৎবাবও সেইরুপ সাধার কথা একবার মনে করেন। বোধ হয় দিনরাত্রি শরৎবাব এই লজার কথা ভাবেন, বোধ হয় সেই জন্যই অস্থির হইয়া শরৎবাব এই লজ্জার কথা প্রস্তাব করিয়াছেন। বোধ হয় শরৎবাব অনেক যাতনা পাইয়াছেন, না হইলে কি দিদির কাছে মুখ ফুটিয়া এমন কথাও বলিতে পারেন ? ঝি বলে, শরৎবাব বড় কাহিল হইয়া গিয়াছেন, অভাগিনী সন্ধার জন্য শরৎবাব এত কস্ট পাইয়াছেন ? সাধার ইচ্ছা করে একবার শরৎবাবর পা দুখানি হৃদয়ে ধারণ করে। তা কি হবে ? বিধাতা কি দরিদ্র সন্ধার কপালে এত সুখ লিখিয়াছেন? শরৎবাব যাহা প্রস্তাব করিয়াছেন, তাহা কি হইতে পারে? উঃ, লজার কথা, পাপের কথা, সন্ধা এ কথা মনে স্থান দিও না। ধীরে ধীরে চক্ষ হইতে এক বিন্দ অশ্র বাহির হইয়া পড়িল। ছোট ছোট দটী হস্ত দিয়া সেই চক্ষ মাছিয়া ফেলিয়া সন্ধা আবার ভাবিতে লাগিল—আচ্ছা শরৎবাব যাহা বলিয়াছেন সত্য সতাই যদি তাহা হয় ? দরিদ্র সন্ধা যদি সত্য সত্যই শরৎবাবর গহিণী হয় ? তাহা হইলে