পাতা:রশিনারা.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** রশিনারা । ভারাপণ করিয়া আন্তে আস্তে এক নিবার সমীপে গমন করিলাম । সুস্নিগ্ধ সুনির্মল বারিপান করিয়া কিছু স্থির হইলে, ' শরীরাদি পরিষক্ত করিলাম। যন্ত্রণার বেগ সম্বরণ করার যে এক প্রসিদ্ধ উপায় অাছে, আমি আকাঙ্ক্ষা না করিতেই দয়া করিয়া সেই সৰ্ব্বসন্তাপহারিণী নিদ্রাদেবী আমার নয়নযুগলে আবির্ভূত হইলেন । তখন এক বৃক্ষমূলে শয়ন করিয়া নিদ্রিত হইলাম। নিদ্রাবেশে এক স্বপ্ন দেখিলাম—” বলিতে বলতে সেনানী কঁাপিয়া উঠিলেন । শিবঞ্জী তখন আগ্রহ সহকারে কইিলেন, র্ণ বল, বল, স্বপ্নে কি দেখিলে ? ” সেনানী কহিতে লাগিলেন ; “ স্বপ্নে দেখিলাম, যেন পূর্ণিমা রজনীতে আমি দিব্য বক্স-মাল্যে বিভূষিত হইয়া, একাকী এক বিজন অরণ্যের নিকটে ভূমণ করিতেছি । আকাশতল একেবারে নির্মল, মাধবী যামিনীর নৈশবক্ষে ক্সিথোজিল রশ্মি বিকীর্ণ করিয়া পূর্ণচন্দ্র বিরাজ করিতেছে ; সেই সুধাময় কিরণ প্রাপ্ত হইয়া তারকাবলী দৃদুমন্দ হাস্য করিতেছে ; সেই স্নিগ্ধময় কর সৎলগ্নে তরুগুল্ম হাসিতেছে । মন্দ বায়ু সঞ্চালিত হওয়াতে বৃক্ষাগ্রভাগ ঈষৎ বিলোড়িত হইতেছে ; কখন দুই একটা গুষক-পত্র-পতন-শব্দ শুনা যাইতেছে, কখন বা বিশ্রাম লাভার্থ পক্ষিকুলের পক্ষপুট-সঞ্চালনের শব্দ শুনা যাইতেছে ; সময়ে সময়ে বায়সকুলের সবমিলিত ঘোররাব শুনা যাইতেছে ; নিকটে, অদূরে কচিৎ ছিৎসুজন্তুদিগের আর্বমাদ শুনা যাইতেছে । আমি ক্রমে অরণ্যের মধ্যে গমন করিলাম, বাইরের ন্যায় অটব্যভ্যন্তরে ঞ্জ্যোৎস্না ছিল না, কিন্তু অন্ধকারাচ্ছন্নও নহে, পৌর্ণমাসী চন্দ্রিকার বিমলালোক