পাতা:রশিনারা.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSR রশিনারা । লইয়া চলিল, সেও একটা বিকটাকার ভূত ! মান সমাধ৷ হইলে রক্তবস্ত্র, রক্তপূৰ্যপমালা এবং সিন্দুর দ্বারা অামা সজ্জিত করিল। সন্ন্যাসী মন্ত্রপূত করিয়া অামার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শোধন করিয়া দেবীর চরণে উৎসর্গ করিয়া দিলেন । আমি তখন.প্রাণভয়ে একান্ত ব্যাকুলিত হইয়া ভক্তিভাবে দেবীকে স্তবস্তুতি করিতে লাগিলাম । দেবী প্রসন্ন হইলেন না । বিষম-বহ্নি-লিভাসিত লোচনত্রয় ঘূর্ণিত করিয়া মহাক্রোধে কছিলেন, “ অরে দুরাত্মন! তুই আমার বরপত্র শিবাজীর অনিষ্ট করিতে চেষ্টা করিয়াছিলি, তোকে আর ক্ষমা করিব না। তুই ঘৃণিত রিপুপরতন্ত্র হইয়া সতীর সতীত্ব নষ্ট করিতে ইচ্ছা করিয়াছিলি। অতএব তোর পাপদেহ পিশাচী কর্তৃক চৰ্ব্বণ করাইব । ” ভবানী আর কিছু বলিলেন না। পরে যে মহাকায় পুরুষ আমাকে স্থত করিয়া আনিয়াছিল, সে একখান সুতীক্ষ খড়গ এবং আমাকে লইয়া মন্দিরের বাইরে গেল। পিশাচগণ আনন্দে মৃত্য করিতে লাগিল । ভৈরব পুরুষ কেবল আমার বধের উদ্যোগ করিতেছে, এমন সময়ে যেন আপনি আগমন করিয়া আমার হস্তধারণ করিলেনঃ “আপনাকে দর্শন করিবামাত্র ভূত প্রেত সকলেই তথা হইতে পলায়ন করিল । পরে আপনি যেন আমাকে লইয়। মায়ের নিকট গমন করিলেন, এবং মায়ের চরণে স্ততি করিয়া আমার প্রাণ ভিক্ষা চাহিলেন । মাতাও যেন হাঁসিতে হাসিতে আমাকে অভয় দান করিলেন। কছিলেন, “ এ যদি আর কখন তোমার অনিষ্ট কামনা করে, তবে ইহাকে অবশ্যই বলি গ্রহণ করিব । * অনন্তর দেবীর অনুমতি হইলে, আমিরা