পাতা:রশিনারা.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজন-স্বনে । ఫి:( আমি আত্মধৈয্য বশতঃ এইরূপ করিলাম, কেবল তোমার সহিত মিলিত হইলে পিতা দুঃখিত হইবেন, সেই জন্যই তোমার প্রণয়-সুখ-ভাগিনী হইলাম না । তুমি আমার জন্য অধৈৰ্য হইয়াছ, হইবারও সম্ভব । কিন্তু এখন হইতে মনে কর, রশিনারা বলিয়া পুথিবীতে কেহ নাই,—রশিনারার মৃত্যু হইয়াছে । তুমি দেশে গমন কর । বাদশাহ তোমার পরম শত্ৰু, সময় , পাইলেই তোমার অনিষ্ট করিবেন । স্বদেশে গিয়া প্রজাপালন করিয়া রাজধর্ম রুক্ষ কর ; তাহার তোমার বিরহে কষ্ট পাইতেছে । সুন্দরী কামিনী দুষ্প্রাপ্য নহে। অনুসন্ধান করিলে আমা অপেক্ষাও সুন্দরী কামিনী পাইবে । তবে কেন যবনীর প্রণয়-ভাজন হইয়া স্বজাতীয়দিগের বিরাগভাজন হও ? তোমার নিকট এই ভিক্ষ, অামাকে ভুলিয়া সুখী হও, স্ত্রীচরণে দ্বিতীয় ভিক্ষা নাই । তোমার কষ্ট পাইবার কোন কারণ দেখিতেছি না ; কেন না, তুমি যেমন তোমার স্ত্রীকে ত্যাগ করিলে, সেইরূপ আমিও আমাকে স্বামিসুখ হইতে অন্তরে রাখিলাম । আমার সকল সুখ-দুঃখ ঈশৰরের প্রতি সমর্পণ করিয়াছি। বিধাত চির-কুমারী থাকিবার জন্য আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন, আমি কিরূপে তাহার অখণ্ড নিয়ম লঙ্ঘন করিব ? তুমি আর আমাকে স্মরণ করিয়া দুঃখিত হইও না ! অামার হৃদয় পাষাণময়, সকল প্রকার আঘাতই সহ্য হইবে । অধিক লেখা নিম্প্রয়োজন দাসী চির-বিদায় লইল । ”