পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৬৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৩৭
রাজ্যশাসনে বীরচন্দ্র

 রুষরাষ্ট্রে পিটার যেমন নূতন আকার দান করিয়া যশস্বী হইয়াছেন, বীরচন্দ্রমাণিক্যও তেমনি ত্রিপুরা রাজ্যকে এক নূতন রূপ দান করিয়া গিয়াছেন। রাজ্যের এই নূতন কাঠাম প্রস্তুত করিয়াছেন বাবু নীলমণি দাস। মহারাজের আবেদন অনুযায়ী ব্রিটিশ কর্ত্তৃপক্ষ নীলমণি বাবুকে সিভিল সার্ভিস হইতে পরিবর্ত্তন করিয়া ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দের ২৭শে আগষ্ট ত্রিপুরার সর্ব্বপ্রকার ক্ষমতাপ্রাপ্ত দেওয়ানরূপে নিয়োগ করেন।

 “নীলমণি দাস কার্য্যভার গ্রহণ করিয়া ব্রিটিশ অনুকরণে আবকারী বিভাগ, ষ্ট্যাম্প সৃষ্টি, দলিল ও রেজেষ্টারির নিয়ম প্রবর্ত্তিত করেন। তিনি দেওয়ানী ও ফৌজদারী সংক্রান্ত আইন সংশোধন এবং তমাদি আইন প্রণয়ন করেন। ত্রিপুরার দক্ষিণাংশকে উত্তর বিভাগের ন্যায় উন্নত করিবার অভিপ্রায়ে উদয়পুর বিভাগ সৃষ্টি করিয়া বাবু উদয়চন্দ্র সেনকে তাহার শাসন কার্য্যে নিযুক্ত করেন। কিন্তু উদয়পুর বর্ষাকালে নিতান্ত অস্বাস্থ্যকর হইয় উঠে। এজন্য সোণামুড়া নামক স্থানে সদর ষ্টেশন স্থাপন করা হইল।

 “বাবু নীলমণি দাস সর্বপ্রকার বিশৃঙ্খলা দূর করিয়া আয় বৃদ্ধি ও ঋণ পরিশোধের পন্থা পরিষ্কার করিয়াছিলেন।

 এই সময় নীলমণি বাবুর যত্বে ত্রিপুরা রাজ্যে উকিলদিগের পরীক্ষার প্রথা প্রবর্ত্তিত হয়।”[১]

  1. কৈলাস সিংহ প্রণীত রাজমালা।