আর একখানা নিতে নাই? আপনারা নিবেন না, তবে আমরা কাঙ্গাল গরীব প্রতিপালন হইব কি প্রকারে?”
রাজকুমারী তখন প্রাচীনার তসবীর সকল দেখিতে চাহিলেন। প্রাচীনা একে একে তসবীরগুলি রাজকুমারীকে দেখাইতে লাগিল। আক্বর বাদশাহ্, জাঁহাগীর, শাহজাঁহা, নূরজাঁহা, নুরমহালের চিত্র দেখাইল। রাজকুমারী হাসিয়া হাসিয়া সকলগুলি ফিরাইয়া দিলেন—বলিলেন, “ইহারা আমাদের কুটুম্ব, ঘরে ঢের তসবীর আছে। হিন্দুরাজার তসবীর আছে?”
“অভাব কি?” বলিয়া প্রাচীনা, রাজা মানসিংহ, রাজা বীরবল, রাজা জয়সিংহ প্রভৃতির চিত্র দেখাইল। রাজপুত্রী তাহাও ফিরাইয়া দিলেন, বলিলেন, “এও লইব না। এ সকল হিন্দু নয়, ইহারা মুসলমানের চাকর।”
প্রাচীনা তখন হাসিয়া বলিল, “মা কে কার চাকর তা আমি ত জানি না। আমার যা আছে, দেখাই পসন্দ করিয়া লও।”
প্রাচীনা চিত্র দেখাইতে লাগিল। রাজকুমারী পসন্দ করিয়া রাণা প্রতাপ, রাণা অমরসিংহ, রাণা কর্ণ, যশোবন্ত সিংহ প্রভৃতি কয়খানি চিত্র ক্রয় করিলেন। একখানি বৃদ্ধা ঢাকিয়া রাখিল—দেখাইল না।
রাজকুমারী জিজ্ঞাসা করিলেন “ওখানি ঢাকিয়া রাখিলে, যে?” বৃদ্ধা কথা কহে না। রাজকুমারী পুনরপি জিজ্ঞাসা করিলেন।
বৃদ্ধা ভীতা হইয়া, করযোড়ে কহিল, “আমার অপরাধ