ব্যয় ছিল। মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত সামান্ত ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের সন্তানের ন্তায় বাস করিয়াছেন। সে জন্ত নিজের উপার্জিত অর্থের অধিক ব্যয় হইত না। गांशु' षषिा পুস্তকের সক ছিল। ভাল ভাল পুস্তক ক্রয় করা, উৎকৃষ্টরূপে বাধান ও সযত্নে রক্ষা করা, ইহা তাহার শেষ দশার একটা প্রধান কাজ হইয়াছিল !
১৮৬৬ সালে যখন মিস কাপেণ্টার এদেশে আগমন করেন। তখন র্তাহাকে বাঁইয়া বালি-উত্তরপাড়ার কোনও বালিকা বিদ্যালয় দেখাইতে যাইবার সময় বিদ্যাসাগর মহাশস্ব গাড়ী হইতে পড়িয়া গিয়া গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন। তদবধি তাহার.পরিপাক শক্তি একেবারে নষ্ট হইয়া যায়। কিছুই ভাল করিয়া পরিপাক হইত না। তদবধি যে এত বৎসর বাচিয়াছিলেন, তাহ কেবল মনের জোরে রলিলে হয়।
সেই ভগ্ন স্বাস্থ্য ক্রমে ক্রমে ক্ষীণ হইয়। ১৮৯১ সালের ২৮শে জুলাই ফুরাইয়া গেল। ঐ সালের ঐ দিবসে তিনি এলোক হইতে অবস্থত হইলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় চলিয়া গেলে, লাহিড়ী মহাশয়ের হৃদয়ের আর এক গ্ৰন্থি ছিড়িয়া গেল। তিনি যেন এক প্রবল প্রেমবাহুর আলিঙ্গনের মধ্যে এতদিন ছিলেন, হঠাৎ সে বাহু কে সরাইয়া লইল। তিনি মুখে কিছু বলিলেন না; শোক প্রকাশ করিলেন না; কিন্তু মৰ্ম্মস্থানে একটা শূন্তত রহিয়া গেল। তাহাত অনিবাৰ্য্য ! যৌবনের প্রারম্ভে যে বন্ধুতা জন্মিয়ছিল, তাহা মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ছিল; ইহা স্মরণ করিলেও মন পবিত্র হয়! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অল্প বন্ধুতাই চিরস্থায়ী হইয়াছিল। র্তাহার তীব্র বিচারে পার পাইয়া চিরদিন তাহার প্রতি ও শ্রদ্ধাতে প্রতিষ্ঠিত থাক, অধিক লোকের পক্ষে সম্ভব হয় নাই। কিন্তু এই লাহিড়ী মহাশয়ের শিশু-সুলভ বিনয় ও বিশুদ্ধ সাধুতার পক্ষে তাহ সম্ভব হইয়াছিল।
লাগরকুলে তীরদেশে জাহাজখানি একাধিক রজুর দ্বারা ৰন্ধ থাকে; ৰে দিন অকুলে ভাসিবার সময় আসে, সে মিন কিরৎক্ষণ পূৰ্ব্বে দেখা যায়, এক একটা করিয়া রঙ্গুর বন্ধন উন্মোচন করিতেছে। ঐ একটা রজ্জ খুলিয়া লইল, গোকে বগিল—”এইবার জাহাজ ছাড়বে”। কিৎক্ষণ পরে আবার একটা খুলিল; আবার ধ্বনি উঠিল “এই ছাড়ে রে; কিৎক্ষণ পরে আবার একটা ধুলিল, তখন মাহুৰ উন্মুখ, এইবার অকুমে যাত্রা করিবার সময় আসিল। লাহিড়ী মহাশয়ের বের্ন সেই দশা ঘটিল! ৰে সকল রজ্জ দ্বারা তিনি আমা