পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ५ ) “অায় গো যাই নবীর দ্বীনে । নবীর ডঙ্কা বাজে শহর মক্কা মদীনে । অমূল্য দোকান খুলেছেন নবী যে ধন চাবি সে ধন পাবি । ও সে বিনা কড়ির ধন সেধে দেয় এখন সে ধন না লইলে আখেরে পস্তাবি মনে” । তাই এদেরকে সুফী বলাই অধিকতর সঙ্গত। পক্ষান্তরে বৈষ্ণব মতাবলম্বী বাউলও আছেন । এদের মতে, সহজ মানুষ শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্য পূর্ণ মানব । একে ‘মহা বাউল’ নামেও অভিহিত করা হয় । দ্বিতীয় শ্রেণীর যে বাউল সম্প্রদায়কে মেকী বাউল বলা হয়েছে, তারা আসলে বাউল নয়, বাউল ছদ্মনামে বাউল সমাজের ক্ষতস্বরূপ । বাউল সাধন-তত্ত্ব সংক্রান্ত নারীঘটিত যে অনাচারের কথা সাধারণতঃ শোনা যায়, তার মূলে আছে এরাই । পূর্বোক্ত হিতকরীতে এদেরই কলঙ্কের কথা বলা হয়েছে । সখের বাউল নামটি হালের আমদানী । এরা কোন নির্দিষ্ট সাধন পম্বের অনুসারী নয়। বিশেষ ক'রে উনিশ শতকের শেষার্ধে লালন ফকীর ও তার সম্প্রদায়ের বাউল বা মারেফতি-মুর্শিদী ইত্যাদি সঙ্গীতের প্রাণমাতানে স্রাতের মুখে এই শ্রেণীর বাউল দলের আবির্ভাব ঘটে। এর সখ করে আলখেল্লা ধ’রেছিলো ( পরুক আর না পরুক ), বাউল সেজে গান লিখেছিলো এবং বাউল বলে আত্মপরিচয়ও দিয়েছিলো। এদের উদাহরণ হ’ল-কুমারখালীর "ফিকির চাদ ফকীর’ ওরফে কাঙ্গাল হরি