পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

করিতে পারি, আর প্রত্যহ এক মুঠা খেতে পাই, সেই কাজই আমি করিতে সক্ষম।

 সাহেব। বেড়াইবার সখ মিটেছে? বাড়ীর চেয়ে স্থান নেই।

 আবার সাহেব বহুক্ষণ নীরবে রহিলেন—পরে সুরেশের দিকে ফিরিয়া রহিলেন, “তুমি দুটী ছেলেকে দেখতে শুনতে পারো? আমি উপস্থিত তোমাকে অন্য কোন কাজ দিতে পারি না। অন্য কোন কাজ হাতে নাই। আমি তোমাকে চিনিনা, কাজেই আমি তোমার জন্য অন্যত্র অনুরোধ করিতে পারি না। দিন কতক গেলে তোমাকে দেখিলে নিলে হয়ত তোমাকে আমি কার কোন ভাল কাজ জোগাড় করিয়া দিতে পারিব।

 সুরেশ। মহাশয়! আমি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি, এরূপ ক্ষমতা আমার নাই।

 সুরেশ সাহেবের সহিত তাহার বাড়ী গমন করিলেন। সেই দিন হইতে তিনি বৃদ্ধ সাহেবের দুটী ক্ষুদ্র পৌত্রের রক্ষণাবেক্ষণের ভার গ্রহণ করিলেন। সুরেশ শীঘ্রই সকলের প্রিয় হইতে পারিতেন। এখানে অতি শীঘ্র তিনি সাহেব ও মেমদিগের প্রিয়পাত্র হইলেন।

 এই পরিবারে সুরেশ কয়েক মাস রহিলেন। যখন তাহার কলিকাতা যাইবার ভাড়া ও সেখানে গিয়া কিছু দিন থাকিবার খরচ সংগ্রহ হইল, তখন তিনি বৃদ্ধ সাহেবের নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া কলিকাতায় চলিলেন।