পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
শকুন্তলা

আর বিলম্ব করা হয় না। তখন শকুন্তলা সখীদিগের নিকটে গিয়া কহিলেন সখি! তোমরা উভয়ে আমাকে এককালে আলিঙ্গন কর। উভয়ে আলিঙ্গন করিলেন। তিন জনেই রোদন করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে সখীরা শকুন্তলাকে কহিলেন সখি! - যদি রাজা শীঘ্র চিনিতে না পারেন তবে তাহাকে তাঁহার স্বনামাঙ্কিত অঙ্গুরীয় দেখাইও। শকুন্তলা শুনিয়া সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া কহিলেন সখি! তোমরা এমন কথা বলিলে কেন বল। আমার হৃৎকম্প হইতেছে। সখীরা কহিলেন না সখি, ভীত হইও না; স্নেহের স্বভাবই এই অনিষ্ট আশঙ্কা করে।

 এইৰূপে ক্রমে ক্রমে সকলের নিকট বিদায় লইয়া শকুন্তলা,গোতমী প্রভৃতি সমভিব্যাহারে, দুষ্মন্ত রাজধানী প্রতি প্রস্থান করিলেন। মহর্ষি কণ্ব, অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা এক দৃষ্টিতে শকুন্তলার দিকে চাহিয়া রহিলেন। ক্রমে ক্রমে শকুন্তলা দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইলে অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগপূর্বক উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিলেন। মহর্ষিও দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কহিলেন অনসূয়ে! প্রিয়ংবদে! তোমাদের সহচরী প্রস্থান করিয়াছেন। এক্ষণে শোকাবেগ সংবরণ করিয়া