পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ ভাবে রাখা ঠিক নয়।” প্রায়শ্চিত্ত করিতে বৃদ্ধার কি আনন্দ ! ৰেন কত আশা । প্রায়শ্চিভের পরে কবিরাজ একদিন তাহার নাড়ী দেখিয়া তাহাকে আশ্বাস দিয়া दनिष्णन, डैशिग्न थांब जब बारे, ठिनि ५-बाजा बैंiक्लिब cशष्णन । उनिद्रा दूकांब्र মুখ কঠিন হইয়া উঠিল, একটি কথা কহিলেন না। সেদিন রাত্রে এক শবে আমার ঘুম ভাঙিয়া গেল—আমি বাহিরের ঘরে গুইতাম, ভিতরে উঠানের দিকে বার বার একটা কিসের শত্ব হইতেছে। দরজা খুলিয়া উঠানে নামিয়া শব্দের নিকটে আসিয়া দেখি —উঠানের মাঝখানে যে ঠাকুর-ধর আছে, তাহারই দ্বস্বারের পৈঠায় সেই বৃদ্ধ পাগলের মত আপনার মাথা ঠুকিতেছে, আর বলিতেছে, “তুমি আমাকে নেবে না – এত করে ডাকছি, তৰু তোমার দয়া নাই ।” স্থানটা রক্তে ভাসিয়া গিয়াছে। বুৰিলাম, রাত্রে সকলে ঘুমাইলে পর সেই চলৎশক্তিহীন বৃদ্ধা আপনার দেহটাকে এতদূর টানিয়া আনিয়াছে—বড় আশায় হতাশ হইয় তাহার দেহের শেষ শক্তিটুকু দিয়া তিনি এই কাজ করিয়াছেন। সকলকে ডাকিয়া তাহাকে ধুইয়া মুছিয়া ধরাধরি করিয়া ঘরের ভিতরে আনিয়া বিছানায় শোয়াইয়া দিলাম। ইহার পর তিনি আর বেশিদিন জীবিত ছিলেন না। সেদিন যা বুঝি নাই, আজ তাহা বুঝি। আমারও সেই অবস্থা হইয়াছে।”—“দেখ লোকে বলে আমি বঙ্কিমের অনুরাগী নই—আমার যেন বঙ্কিমের প্রতি একটা ব্যক্তিগত বিদ্বেষ আছে—দেখ, জীবনের সত্যকে, যত বড় কবিই হউক, লঙ্ঘন করিতে পারেন না ; নারীর সম্বন্ধে যে ধারণা আমাদের সমাজে সংস্কারের মত বদ্ধমূল হইয়াছে, তাহ ষে কত মিথ্যা, তাহা আমি জানি বলিয়াই কোন কবি, বিশেষ করিয়া যিনি খুব বড় কবি বলিয়াই সন্মান পাইয়া থাকেন, তাহার লেখার দায়িত্বহীন কল্পনার অবিচার আমি সহ করিতে পারি না। ধৰ্ম্ম ও নীতিশাস্ত্রের অনুরোধে মানুষের প্রাণকে ছোট করিয়া দেখিতে হইবে,—নারীর জীবনের যেটা সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি, তাহাকেই একটা কুৎসিত কলঙ্করূপে প্রকাশ করিতে হইবে—ইহাতে কবিগ্রাণের মহত্ব বা কৰি কল্পনার গৌরব কোথায় ? আমাদের সমাজে যে নিদারুণ অবিচার প্রতিনিয়ত ঘটতেছে, সাহিত্যে যদি তাহারই পুনরাবৃত্তি দেখি, তবে মানুষ হিসাবে মানুষের মূল্য স্বীকার করা সম্বন্ধে হতাশ হইতে হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে রোহিণীর জ্বৰ্গতির কথা যখন ভাবি, তখন আমার নিক্লদিদির কথা মনে হয় । সে গল্প তোমাকে বলি। নিকদিদি ছিলেন ব্রাহ্মণের-মেয়ে, বালবিধবা । বত্রিশ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত তাহার চরিত্রে কোন কলঙ্ক স্পর্শ করে নাই। গ্রামে এমন মুগল, ধৰ্ম্মমতি, পরোপকারী, শ্রমশীলা ও কৰ্মিষ্ঠা আর কেহ ছিল না ; রোগে সেবা, দুঃখে সান্থন, অভাবে সাহাষ্য, এমন কি অসময়ে দাসীর-স্তায় পরিচর্ধ্যা, তাহার নিকটে পায় নাই এমন পরিবার বোধ হয় সে গ্রামে একটিও ছিল না। আমার বন্ধগ ‰ቖ..